হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ

HAlDA RIVER 00

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

এম কামাল উদ্দিন, রাউজান: দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে কার্প–জাতীয় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু হলে রাত ১টার দিকে জোয়ার-ভাটার সময় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। হালদা নদীর নাপিতের ঘাট থেকে নোয়াহাট পর্যন্ত এই নমুনা ডিম পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে নৌকা ও বাঁশের ভেলা নোঙর করে জাল ফেলে নমুনা ডিম সংগ্রহ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৪র্থ অমাবস্যার জোঁ বা তিথীতে হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। এই অমাবস্যার জোঁ চলবে (২৫-২৯) মে। যেহেতু আজ অমাবস্যা শেষ হচ্ছে তাই আজ রাতে ডিম ছাড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, অনুকূল পরিবেশ না পেলে এই জোঁ’তে পুরোদমে ডিম না ছাড়লে ইনশাআল্লাহ পরবর্তী পূর্ণিমার জোঁ’তে (৮-১৪) জুন ডিম ছাড়বে কার্প জাতীয় মা মাছ।
ডিম সংগ্রহকারী মো. হোসেন ও মো. শহীদুল্লাহ্ জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে বজ্রপাতসহ পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল সৃষ্টি হলে গভীর রাতে নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। তবে তা অল্প ডিম। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে সামনের পূর্ণিমাতে প্রবল বৃষ্টিসহ পাহাড়ি ঢল থাকলে মা মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়তে পারে। জানা যায়, নদীতে কয়েক’শ ডিম সংগ্রহ কারীরা তাদের সরঞ্জাম নৌকা, জাল, বালতি নিয়ে অবস্থান করছেন। কখন নদীতে পুরোদমে ডিম ছাড়বে এই অপেক্ষায় আছে। রাউজান উপজেলা মৎস্য অফিসের সূত্রে, বিগত ১৭ বছরে হালদায় মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয় ১লাখ ৪৯ হাজার ৬৯০ কেজি। পরিসংখ্যান দেখা যায়, ২০০৭ সালে হালদা নদী থেকে ২২হাজার ৩১৪ কেজি,২০০৮ সালে ২ হাজার ৪০০ কেজি,২০০৯ সালে ১৩ হাজার ২০০ কেজি, ২০১০ সালে ৯ হাজার কেজি, ২০১১ সালে ১২ হাজার ৬০০ কেজি,২০১২ সালে ২১ হাজার ২৪০ কেজি, ২০১৩ সালে ৪ হাজার ২০০ কেজি, ২০১৪ সালে ১৬ হাজার ৫০০ কেজি, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৮০০ কেজি, ২০১৬ সালে ৭৩৫ কেজি, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৬৮০ কেজি ও ২০১৮ সালে ২২ হাজার ৬৮০ কেজি ২০১৯ সালে ৭ হাজার কেজি, ২০২১ সালে ৮হাজর ৫০০কেজি ২০২২ সালে ৬ হাজার ৫০০ কেজি, ২৩ সালে ১৪ হাজার কেজি, ২৪ সালে ১হাজার ৬৮০ কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়। এই বছরও ডিমের পরিমাণ কমবে বলে ধারণা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।

 

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ