শিক্ষকতা চাকুরী নয় এটি মহান পেশা — মুনীর চৌধুরী

IMG 20230721 WA0003

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

এম বেলাল উদ্দিন রাউজান : জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদু ঘর এর মহা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দেশ কাঁপানে ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ মুনির চৌধুরী বলেছেন আমি সারা দেশে চাকুরী করেছি এবং বহু সরকারী প্রতিষ্টানে চাকুরী করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু আমার মনে একটা দুঃখ হল যে আমরা অন্তর দিয়ে নিজের প্রতিষ্টানকে ভালবাসিনা।অন্তর দিয়ে আমরা কাজ করিনা। আমরা ৯টা ৫টা, বা ৮টা ২টা যায় বলেন,সরকারী বলুন নির্ধারিত অফিস সময়,বা স্কুল সময় এ পর্যায়ে আমরা দায়িত্ব শেষ করে বাড়ী চলে যায়,আড্ডায় চলে যায়,বাজারে চলে যায় কিন্তু আমার প্রতিষ্টান,আমার শিক্ষার্থী তাদের কি হবে ভবিষ্যৎ?সরকার কিন্তু প্রচুর বেতন ভাতা বাড়িয়েছে। তিনি বলেন আমি যখন এ্যাসিল্যান্ড ছিলাম তখন আমি ৬ হাজার২শ বা ৯শ বেতন পাইতাম,বেশিদিন আগেরনা।কিন্তু আমরা কষ্ট করে চলতাম। কিন্ত আপনাদের মত উপজেলায় আমি ছিলাম। গ্রামে গ্রামে কাজ করেছি,মোটর সাইকেলে ছড়ে আমি স্কুল গুলোতে গিয়েছি।কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা গুলো অত্যন্ত করুণ ও নির্মম।আমি আজকে শিক্ষকদের উদ্যশ্যো বলি শিক্ষা,শিক্ষাকতা এটা কোন চাকুরী না এটি একটা মহৎ পেশা অনেক সম্মান,এ সম্মান আদায় করা যায়না, অর্জন করে নিতে হয়।তিনি আরো বলেন একজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি করবেন।১৮ লাখ সরকারী কর্মচারী কর্মকর্তা এর মধ্য আপনারাও আছেন।সরকার ৭৭ হাজার কোটি টাকার বেতন ভাতা দেন।যদি আমরা আন্তরিক না হই, দেশ প্রেম, দরদ যদি আমাদের না থাকে তাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।একজন শিক্ষার্থীর আগ্রহ থাকে আমি প্রকৌশলী হব,গবেষক হব,ডাক্তার হব, বিসিএস অফিসার হব ইত্যাদি।কিন্তু সে শিক্ষা আমরা শিক্ষকরা দিচ্ছি।তিনি বলেন আমরা গতবছর ঢাকায় একটি বিজ্ঞান মেলা করে করেছিলাম,৬৪ জেলার ৪৯২ উপজেলা থেকে অংশ গ্রহন করেছিল।আমরা বিজ্ঞানের মডেল তৈরি করেছি।লক্ষ লক্ষ টাকা জেলা ও বিভাগে দিয়েছি।কিন্তুু আমাদের শিক্ষকরা আন্তরিক না।কিছু শিক্ষক রয়েছে যারা পক্ষ পাতিত্ব করে শিক্ষার্থীকে নাম্বার বাড়িয়ে দেন। এটি কি নৈতিকতা? আমরা নামাজ পড়ি আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি,আমরা এ মুসলমান দেশ,কিন্তু নীতি নৈতিকতায় আমরা অনেক তলানীতিতে পড়ে গিয়েছি।তিনি গতকাল (২১ জুলাই)শুক্রবার সকালে রাউজানের নিজ এলাকার হযরত এয়াছিনশাহ পাবলিক (বহুমূখী)উচ্চ বিদ্যালয়ে গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট এর উদ্যোগে মাস্টার রুহুল আমিন চৌধুরী স্মৃতি স্মারক বক্তৃতাঃ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মূল্যবোধ নৈতিকতা বিশেষজ্ঞ একক বক্তা অনুষ্টানে উপরোক্ত বক্তব্য রাখছিলেন।আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারী শাহ এমদাদীয়া হলদিয়া,ডাবুয়া,এয়াছিন্নগর শাখার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন হযরক এয়াছিনশাহ পাবলিক (বহুমূখী)উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন।পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবদুল বাতেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন হযরত এয়াছিনশাহ পাবলিক (বহুমূখী)উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মাহবুবুল আলম,ইঞ্জিনিয়ার শহিদ চৌধুরী,উপজেলা কৃষকলীগের সেক্রেটারী জিয়াউল হক চৌধুরী সুমন।উপস্থিত ছিলেন এয়াছিনশাহ পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল মান্নান,লায়লা কবির ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মেজবাহ আলম ভূইয়া,মাস্টার মুহাম্মদ সোলায়মান,নুরুল ইসলাম বিএসসি, ফরিদ মিয়া,সাংবাদিক মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন,আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারী শাহ এমদাদীয়া চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি হুমায়ুন কবির চৌধুরী,কলেজের বিপিএড শিক্ষক আবদুস সালাম,মাস্টার মুহাম্মদ আলমগীর,শিক্ষক মাওলানা সৈয়দ লুৎফুর রহমান,মাওলানা মুনসুর উদ্দিন নেজামী,এ এম কামাল উদ্দিন চৌঃ,জাহাঙ্গীর আলম চৌঃ,শওখত গণী চোঃ,ডাক্তার মুহাম্মদ ফারুক,তৈয়মুর চৌঃ,ইউছুফ সওদাগর,ইউনুচ মিয়া কোম্পানী,মুহাম্মদ শাহাজান,মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন ইলিয়াছ,মুহাম্মদ আমির হোসেন,মুহাম্মদ শওখত হোসেন চৌঃ প্রমুখ।পরে তিনি স্কুলের শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব পরিদর্শন ও স্কুল আঙ্গীনায় গাছের চারা রোপন করেন।সর্বশেষ স্কুল প্রাক্তন ছাত্র সমিতির উদ্যোগে নির্মিতব্য স্কুল ভবন পরিদর্শন করেন মুহাম্মদ মুনির চৌধুরী।

 

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ