রাউজানের  তরুণ উদ্যোক্তা এয়ার মোহাম্মদের সাত হাজার চামড়ার লবন প্রক্রিয়াজাত

IMG 20230702 002528

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

এম কামাল উদ্দিন: কোরবানির ঈদে সাত হাজার চামড়া প্রক্রিয়াজাত করেছেন রাউজানের তরুণ উদ্যোক্তা এয়ার মোহাম্মদ। উপজেলার  নোয়াপাড়ার সেকশন ১ ও ২ সড়কের পাশ্ববর্তী কর্তার দীঘির পাড়ের একটি গুদামে কুরবানির পশুর চামড়া গুলো মজুদ করেছেন বিক্রির উদ্দেশ্যে।

তরুণ উদ্যোক্তা এয়ার মোহাম্মদ জানান, সাত হাজার চামড়া গুলো সংগ্রহ করতে দুই শতাধিক শ্রমিক নিয়োজিত ছিল। রাউজানের দক্ষিণাংশের বিভিন্ন  মাদ্রাসা থেকে নার্য্য দামে তিনি চামড়া গুলো ক্রয় করে  পরিষ্কার করে লবনজাত করে স্তুপ  করেছেন।
ব্যাবসায়ীরা জানান, শ্রমিকদের মজুরি বেশী হওয়ার পাশাপাশি লবনের দাম বেশি থাকায়  এবার চামড়া মজুদে অন্যান্য বারের চাইতে অনেক বেশি খরচ হয়েছে।

এয়ার মোহাম্মদ জানান,  রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর  নির্দেশনা ছিল যাতে কোনো চামড়া নষ্ট না হয়।নেতার নির্দেশনা মেনে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়ার সার্বিক  সহযোগিতায় চামড়া গুলো সংগ্রহ করতে পেরেছি।

তিনি আরো জানান,  সাত হাজার চামড়া সংগ্রহ করতে ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।  নার্য্য মূল্য না পেলে অনেক লোকসান গুনতে হবে তাকে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। পাট ও পাটজাত দ্রব্যই ছিল পাকিস্তানের প্রধান রপ্তানি পণ্য। দেশের জাতীয় আয়ের ৬৫ শতাংশই আসত কৃষি খাত থেকে। দেশীয় ব্যবহার ও রপ্তানিতে চা ও চামড়ার উপস্থিতি এবং অবস্থান ক্রমে বাড়তে থাকে। এ দেশ মুসলমান প্রধান হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহার সময় প্রচুর গরু, ছাগল কোরবানি হয়।

ব্যবসা হিসাবে এ দেশে চামড়া খাতের যাত্রা শুরু হয়েছে বিগত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে। ১৯৪০ সালে ব্যবসায়ী রণদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহা) নারায়ণগঞ্জে সর্বপ্রথম একটি ট্যানারি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৫১ সালের অক্টোবরে তৎকালীন সরকার ঘোষিত এক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ঢাকার হাজারীবাগে ট্যানারি শিল্প স্থাপিত হয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ