
এম কামাল উদ্দিন : এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ খ্যাত হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। ৭ মে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়তে শুরু করে। এ সময় ডিম ছাড়ার সংবাদ পেয়ে নদীতে ও শাখা খালসমূহে অবস্থানরত দুই শতাধিক নৌকা নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা নদীর মইশকরম এলাকার চইল্যাখালি, আজিমের ঘাট, রামদাশ মুন্সির হাট, গড়দুয়ারা, অংকুরিঘোনা, সোনাইরমুখসহ বিভিন্ন পয়েন্টে জাল পেতে ডিম সংগ্রহ করতে থাকে। ৬ মে সোমবার প্রবল বর্ষণে নদীতে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় জোয়ারের সময় ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে ভাটার সময় ডিম ছাড়ে। ডিম সংগ্রহকারী সাধন জলদাশ, বাচা জানান, সকালে ডিম সংগ্রহের জন্য নদীতে অবস্থান নিয়ে পাঁচ বালতি ডিম সংগ্রহ করেছেন। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে জালে ডিমের পরিমান বাড়তে থাকে।রাউজান উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সকালে নমূনা ডিম ছাড়ার পর বেলা বাড়ার সাথে সাথে ডিম সংগ্রহকারীদের জালে ডিমের পরিমান বাড়তে থাকে। সংগৃহীত ডিম রাখতে মোবারেকখীল হ্যাচারি সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।হালদা গবেষক চট্টগ্রাম ক্যান্টেমেন্ট পাবলিক কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ৭ মে মঙ্গলবার সকাল ৬ টার সময় ভাঁটার শেষে দিকে হালদা নদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী পাকিরাম দাশ, হরিরন্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ এবং সুনিলদাশ ১১ টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে ২ থেকে ২.৫ বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেন। উল্লেখ্য ৬ মে থেকে ১০ মে পর্ষন্ত হালদায় কার্পজাতীয় মাছের ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে। হালদা নদীতে আমবস্যার জোঁ”তে পুরোদমে ডিম ছাড়ার সম্ভবনা রয়েছে ।