রাউজানের শেখপাড়ায়  দুইদিন ব্যাপী সুন্নী সমাবেশ  বক্তারা- “সাহাবায়ে কেরাম উম্মতে মোহাম্মদির জন্য অনুপম আদর্শ”

Mafil news pic 02 scaled

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

এম কামাল উদ্দিন : গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের শেখপাড়া ইউনিট শাখার ব্যবস্থাপনায় এলাকাবাসী ও প্রবাসীদের যৌথ উদ্যোগে ২দিন ব্যাপী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উদযাপন উপলক্ষে ১১ নভেম্বর (শনিবার) ১ম দিবসে দাওয়াতে খায়র মহিলা মাহফিল ও ১২নভেম্বর (রবিবার) ২য় দিবসে আজিমুশশান সুন্নী সমাবেশ  গাউছিয়া কমিটির অফিস  সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত  সভাপতি শেখ এমদাদ হোসাইনের  সভাপতিত্বে উদ্ভোধক ছিলেন নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাবুল মিয়া। সংগঠনের দাওয়াতে খায়র সম্পাদক সাব্বির উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন কক্সবাজার রামু হযরত জঙ্গলি পীর (রাঃ) ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ  আব্দুল  আজিজ রজভী। প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা শাজাহানপুর গাউছুল আজম জামে মসজিদের খতিব হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শায়েখ  আব্দুল মোস্তফা রহিম আল আযহারী।  বিশেষ বক্তা ছিলেন কচুখাইন মুহাম্মদীয়া মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও শেখপাড়া জামে মসজিদের খতিব হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ আইয়ুব বদরী।জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শায়ের মুহাম্মদ মহিউদ্দিন তানভীর।বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াপাড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ইউপি সদস্য মুহাম্মদ সোহেল।এসময় উপস্থিত ছিলেন  জহির আহমেদ জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা আজহার মিয়া আলমাইজভান্ডারী,নোয়াপাড়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট হাফেজ মাওলানা আজিজ উদ্দিন কাদেরী, মাওলানা নঈম উদ্দিন রজভী,গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ নোয়াপাড়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ ইউনুস,সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জাহেদুল হক, অর্থ সম্পাদক আবদুল আল মামুন, শেখপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা পর্ষদ এর সহ সভাপতি আখতারুল ইসলাম জসিম, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মিয়া,শেখপাড়া জামে মসজিদ পূনঃ নির্মাণ কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মীর সায়েম বাদশা, হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা হাসান মুরাদ, মাওলানা আজিজুর রহমান প্রমূখ সহ অসংখ্য উলামায়ে কেরাম ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । মাহফিলে প্রধান আলোচক আব্দুল আজিজ রজভী বলেন, ঈমানের সঙ্গে যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সান্নিধ্য লাভ করেছেন এবং ঈমানের ওপর অটল অবিচল থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন, তাদের সাহাবি বলে।উম্মতে মোহাম্মদির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মহান জামাত হলো সাহাবায়ে কেরাম। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সঙ্গ ও সান্নিধ্য লাভের বরকতে তাঁরা সকল প্রকার মলিনতা থেকে ছিলেন মুক্ত। সর্ব প্রকার জুলুম-নির্যাতন, দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মাঝেও তাদের হূদয় ছিল নবীপ্রেমে ভরপুর। ধৈর্য, ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁরা অর্জন করেছিলেন মহান আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সন্তুষ্টি। সকল হক্কানি ওলামায়ে কেরাম এ বিষয়ে একমত যে, কোনো অলি বা পীর-মাশায়েখ যতই উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছান না কেন,একজন সাধারণ সাহাবার সমতুল্য কখনো হতে পারবেন না।কেননা তাঁরা সার্বিক দিক থেকে অনন্য ও অতুলনীয়। সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে তাদের গুণাবলি প্রশংসনীয়। বিশেষ আলোচক শায়েখ আব্দুল মোস্তফা রহিম বলেন, ইসলামের পক্ষ থেকে দেওয়া নারীর স্পষ্ট অধিকার দেনমোহর আদায়ের প্রবণতা না থাকলেও যৌতুক নেওয়ার তোড়জোর রয়েছে সমাজে অনেকের মাঝে। অথচ যৌতুক একটি নিপীড়ন মূলক প্রথা।কনে পক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্যায়ভাবে তার পরিবার থেকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা আদায় করা হয়। অথচ আল্লাহ তায়ালা কাউকে জুলুম করে সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করে বলেন, ‘তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। শেষে মিলাদ কিয়াম মুনাজাত  ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ