মারাইংতং বৌদ্ধ মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় আমাকে জড়ানো হচ্ছে,হেডম্যান চংপাত ম্রো

received 682655347818069

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

বেলাল আহমদ,লামা(বান্দরবান): মারাইংতং বৌদ্ধ মন্দিরের ভান্তে উঃ উইচারা ভান্তের বিরোদ্ধে লুটপাট, টাকা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বান্দরবানের লামা উপজেলার ২৮৫ নং সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রো।২৩ মে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় লামা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে চংপাত ম্রো বলেন,মারাইংতং বৌদ্ধ মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় আমাকে জড়ানো হচ্ছে, এ ঘটনায় আমি সম্পৃক্ত নই। ভান্তে ধর্মীয় অনূভূতিকে কাজে লাগিয়ে লামার মুরুং জুমিয়াদের জুমচাষের জায়গা কেড়ে নিতে এই প্রপাগান্ডা ও ঘটনা তৈরী করছে।আমি চংপাত স্রো, লামা উপজেলার ২৮৫নং সাংগু মৌজার হেডম্যান হই। গত বৃহস্প্রতিবার দৈনিক নতুন বাংলাদেশ ও আলীকদম প্রেস ক্লাব নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিতে পারিলাম গত ২১/০৫/২০২৫ইং রোজ বুধবার সাড়ে ৩ ঘটিকায় আমার নেতৃত্বে মারাইংতং পাহাড়ে বিরোধীয় জায়গায় অ-সম্পূর্ণ নির্মাণাধীন এক বুদ্ধ মূর্তি ভাংচুর করা হয়। সংবাদে উল্লেখ্য রয়েছে যে, উল্লেখিত মারাইতং পাহাড়ে ধম্ম জাদী ও বৌদ্ধ বিহারটি আলীকদম উপজেলা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত জায়গাটি লামা উপজেলা ২৮৫নং সাংগু মৌজায় অবস্থিত। ১৯৯২ সালে ভরিমুখ বিহারে বিহার অধ্যক্ষ উঃ উইচারা ভান্তে আবেদনের প্রেক্ষিতে মেরাইতং পাহাড়ে বুদ্ধ প্রতিবিম্ব, ভাবনা কেন্দ্র ও জাদী নিমাণের জন্য মিরিঞ্জা পাহাড় বৌদ্ধ ধর্মীয় ধম্ম জাদী ও বিহারে নামে সাংগু মৌজা হতে ৫.০০ একর জায়গা দান করেন আমার প্রয়াত দাদু। উক্ত জায়গায় ২৮৫নং সাংগু মৌজায় ম্রো সম্প্রদায়ের দীর্ঘ বছরের দখলীয় জুমভূমি। ম্রোদের উচ্ছেদ করে সেখানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে রিসোর্ট তৈরি জন্য ভরিমুখ বৌদ্ধ বিহারে বিহার অধ্যক্ষ উঃ উইচারা ভান্তে বেশ কয়েকবার আমার হতে ৩০% চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অপারগ জানালে ভান্তে নেতৃত্বে কতিপয় আলীকদম প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে আমার মৌজায় অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাসী কায়দায় গত ০৪/০৪/২০২৫ইং রোজ শুক্রবার আমার এবং আমার মৌজাবাসীর নির্মিত ৩টি জুমঘর ভাংচুর করার পর ৫০০০ পাইয়া বাঁশ, ৬০০টি ঠুনি, ১শত পাকা পিলার, ৮০ ফুট তক্ত, ১৫০টি বিম, ১টি ৩ গুড়া সাবমারসিবল পাম্প, ১৫০০ লিটার ক্যাপাসিটির ২টি পানির ট্যাংক, ২ কয়েল সার্ভিস তার, ৮কিলো ক্যাপাসিটির জেনারেটর, ২০০০ ফুট পানির পাইপ, ২০০০ ফুট পল্লী বিদ্যুৎ তার, ২সেট সৌর বিদ্যুৎ, ৩৫ বাইন টিন, ৫০ বস্তা সিমেন্ট এবং বিবিধ মালামালসহ ২১ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। একই সময়ে হামলাকারীরা আমার কেয়াটেকার হতে ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয়ে আমি লামা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করিলে ঘটনার পরের দিন ০৫/০৪/২০২৫ইং লামা থানা ও আলীকদম থানা অফিসার ইনচার্জ সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে আমাকে আইনি সহায়তা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে লামা সাংগু মৌজায় বর্তমান বিরোধকৃত জায়গায় কোন বুদ্ধ মূর্তি ছিলো না। বরংচ আমার ও আমার পাড়াবাসী নির্মিত জুমঘরে ভাংচুরে অংশশেষ দেখতে পাওয়া যায়।বিষয়টি নিয়ে উভয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি জন্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য জনাব খামলাই স্রো নেতৃত্বে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ২১/০৫/২০২৫ইং রোজ বুধবার সরজমিনে বিরোধীয় জায়গা তদন্ত জন্য প্রেরণ করেন। তখন লামা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৩০৫নং গজালিয়া মৌজা হেডম্যান জনাব থোয়াইনুঅং চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিরোধীয় জায়গায় অসম্পূর্ণ একটি বুদ্ধ মূর্তি দেখতে পান। তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষে বক্তব্য শোনে বিকালে লামা চলে আসেন। তাদের সঙ্গে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টায় পর্যন্ত তদন্ত কমিটি সহিত আমি ছিলাম। বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩ঘটিকায় তদন্ত কমিটি নেতা খামলাই স্রো মুখ থেকে জানতে পারি মেরাইতং পাহাড়ে প্রশাসনে নিষেধাজ্ঞা জায়গায় অসম্পূর্ণ বুদ্ধ মূর্তি কে বা কাহারা ভাংচুর করে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, উইচারা ভান্তে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রনিনিধিদের কে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য দিয়ে ভান্তে নিজের হীন উদ্দেশ্য হাসিল করার পায়তারা করছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, মানহানি ও আইনগতভাবে ঝামেলা ফেলা ষরযন্ত্র করায় উক্ত সংবাদে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে সরকারি বিভিন্ন এজেদি, সংবাদ প্রতিনিধি ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সরজমিনে প্রকাশ বা গোপনে তদন্ত করে উক্ত সত্য ঘটনা উন্মোচন করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ