

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাত্বিক প্রাণ কেন্দ্র মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের অন্যতম আধ্যাত্মিক সাধক, গাউসুল আযম শাহছুফি মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান আল-হাছানী আল মাইজভাণ্ডারী প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারী (ক.)-এর ৮৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ মহান ২২ চৈত্র দরবার শরীফে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ এপ্রিল শনিবার মাজার শরিফে গিলাফ চড়ানো, ফুল-আতর ছিটানো ও মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ওরশ শরিফের আনুষ্ঠানিকতা। আশেকনে গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া সহিদীয়া মাইজভান্ডারীয়া ব্যবস্থাপনায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে এ আয়োজন।গাউছিয়া রহমান (মইনীয়া) মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও ৩১তম আওলাদে রাসুল আলহাজ্ব শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ আল হাসানী ওয়াল- হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী আশেক ভক্ত জায়েরীণদের নিয়ে গাউসুল আযম শাহসূফি সৈয়দ আহামদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.), শাহ্ সূফি হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী (ক.), সৈয়দ আবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (ক:) এবং সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী ওয়াল-হোসাইনী মাইজ ভান্ডীর(ক:)এর রওজা শরিফ জিয়ারতে অংশ নেন ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।পরে কেন্দ্রীয় মিলাদ মাহফিলে আশীষ বাণী ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া রহমান (মইনীয়া) মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও ৩১তম আওলাদে রাসুল আলহাজ্ব শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ আল হাসানী ওয়াল- হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী। মোনাজাতে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন। তিনি বলেন, হানাহানি মারামারি করে ইসলাম কায়েম করা যায় না। ইসলাম হানাহানি মারামারি ধর্ম না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। তিনি আরও বলেন আল্লাহর ঠিকানা খোঁজার জন্য মাইজভান্ডার দরবারে আসেন আশেক-ভক্তবৃন্দ।মাইজভান্ডার দরবার আওলাদে রাসুলের দরবার। এই দরবারে আদব মোহাব্বত ও খোদা প্রেমের শিক্ষা দেয়। বিশ্বের বুকে মাইজভাণ্ডারী তরিকার আদর্শ তুলে ধরতে হলেই প্রচার প্রসার বাড়াতে হবে।প্রসার প্রসার বাড়াতে হলেই বিভিন্ন স্থানে মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ করতে হবে। ওরশে লাখ লাখ ভক্তের সমগম ঘটে। আগত ভক্তরা মাজার জিয়ারত, নফল এবাদত, জিকির, ছেমা মাহফিলসহ ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে সময় পার করতে দেখা গেছে। শেষে আগত আশেক ভক্তদের মাঝে তাবারুক বিতরণ করা হয়।
