বোয়ালখালীতে বহিরাগত লোকজন দিয়ে জমি জবরদখল : একাধিক দপ্তরে অভিযোগ

received 1118401149341155

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে রাতের আধারে ও দিনের আলোতে বহিরাগত লোকজন দিয়ে সমানতালে চলছে জমি দখল। প্রতিকার ছেয়ে বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেও মিলছেনা প্রতিকার। ফলে, প্রতিকার পেতে পুলিশের চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার ও রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার। জানাযায়, বোয়ালখালী উপজেলার পৌরসভাধীন গোমদন্ডী ফুলতল এলাকার আরএস খতিয়ান নম্বর-৪২২, আরএস দাগ নম্বর-৮৫৮০এর মালিক ছিলেন আব্দুস ছত্তার গং। নিলাম খরিদ সূত্রে মালিক হন-আবুল হোসেন। মালিকানার পরথেকে দীর্ঘদিন জমিটি ভোগ দখল করছিলেন স্থানীয় আমিন শরীফ। আমিন শরীফ মারা যাওয়ায় ওয়ারিশ সূত্রে জমিটি ভোগ দখল করেন তারই পুত্র আব্দুস সালাম। আব্দুস সালাম মরণে তার ওয়ারিশ আবুল মুনছুর গংয়েরা জমিটি ভোগ দখল করে আসছে। বর্তমানে জায়গা-জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে ওই জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়েছে বলে জোরপূর্বক দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে স্থানীয় মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে প্রবাসী আবুল মুনছুর ও তার স্ত্রী জুলি আকতার। তারা জনৈক মহিউদ্দিনের কাছথেকে জমি ক্রয় করেছে বলে মাসতিনের পূর্বে রাতের আধারে বহিরাগত লোকজন দিয়ে ওই জমি জমির কিছু অংশ দখল করে নেয়। বাদী মনছুরের দখলে থাকা জমিতে কখনো আসবে না মর্মে পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ হন তারা। কিন্তু বর্তমানে মুনছুরের দখলে থাকা জমি আবারও দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। প্রতিকার পেতে জমির মূল মালিকেরা বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাজ বন্ধ করতে পারেনি। প্রতিকার পেতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এবং রেঞ্জ ডিআইজির কাছে আইনি সহায়তা চান জমির মালিকেরা। এরআগেও উর্দ্ধতন পুলিশের হস্তক্ষেপে মুনছুরের মালিকানাধীন দখলীয় জায়গা অবৈধভাবে দখল কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শীতল হলে আবারও দখলকারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং রাতের আধারে এবং দিনের আলোতে সমানতালে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। ভূক্তভোগী আবুল মুনছুর থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ জমির দখল কাজ বন্ধ না করে পুলিশের পক্ষথেকে জায়গার মালিক মুনছুরকে থানায় শালিসী বৈঠকের প্রস্তাব দেয়।জানা যায়, বিরোধীয় জমি নিয়ে জমি নিয়ে বাদীপক্ষ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (মহানগর) এর আদালতে মিছ মামলা নম্বর- ১০২৪/২৩ দায়ের করেন। অপরদিকে বিবাদীপক্ষ মাননীয় অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালতে (মহানগর) কার্যালয়ে মিছ মামলা নম্বর ১০৪৪/২৩দায়ের করেন। জমি নিয়ে বাদীপক্ষ সিনিয়র সহকারি জজ আদালত (পটিয়া) বোয়ালখালী আদালতে ঘোষণা মূলক প্রতিকার পেতে অপর মামলা নম্বর-২৫৮/২৩ দায়ের করেন। অপরদিকে বিবাদীপক্ষ বোয়ালখালী সহকারি জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পেতে মামলা নম্বর ২১৯/২২ দায়ের করেন। একই জমি নিয়ে তৃতীয়পক্ষ মোহাম্মদ হোসেন সিনিয়র সহাকারি জজ বোয়ালখালী (পটিয়অ) আদালতে অপর মামলা নম্বর-৬২/১৩এর বিপরীতে, ছানি মিছ মামলা নম্বর-৪২/১৮ দায়ের করেন।উক্ত জমি নিয়ে একাধিক মামলা ভিন্ন ভিন্ন আদালতে চলমান থাকারও পরও বিজ্ঞ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জুলি আকতার ও তার স্বামী মো.আবুল মনছুর বিরোধীয় জায়গাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। আর এতে ব্যবহার করা হয় শতশত বহিরাগত লোকজন। এতে করে যেকোনো মুহুর্তে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সহ জনসাধারণ।জমি দখলকে কেন্দ্র করে গোমদন্ডী ফুলতল এলাকায় দু‘পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যে কোনো সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ