জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট মানবতার সেবার বাতিঘর

received 835466124949965

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নাম হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট।সারাদেশে আত্ম মানবতার কাজ করে যাচ্ছে এই ট্রাস্ট। বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এ ট্রাস্ট।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের খাত রয়েছে। এরমধ্যে একটি প্রকল্প হচ্ছে দরিদ্র নারীদের আত্ম স্বাবলম্বী গড়ে তোলা। চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চনসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ৯২টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেন হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট।বিনামূল্যে দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া পর তাদের মাঝে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। ৯২টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে নোয়াজিষপুর মূঈনীয়া আজিজিয়া মাদ্রাসায় একটি মহিলা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে নারীদের বিনামূল্যে সেলাই কাজ শিখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই কেন্দ্র থেকে ৪০জন প্রশিক্ষণার্থী সেলাই কাজ শিখে এখন স্বাবলম্বী পথে। ভর্তি হয়েছে আরো ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী। জানা যায়,নোয়াজিষপুর মূঈনীয়া আজিজিয়া মাদ্রাসায় সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছাড়াও রয়েছে সৈয়দ রহিমুল্লাহ শাহ্ মাইজভাণ্ডারী দাতব্য চিকিৎসালয় কেন্দ্র। এই দাতব্য চিকিৎসালয় কেন্দ্রে প্রতি সপ্তাহে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তার দিয়ে ছোট্ট ছেলে-মেয়ের খতনা- নাক-কান ছিদ্রসহ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।এই দাতব্য চিকিৎসালয়ে দুস্থ রোগীরা বিনামূল্যে যেসব সেবা পেয়ে থাকেন তা হচ্ছে ওষুধ, লুঙ্গি, টুপি,গেঞ্জিসহ খতনা ক্যাম্প, পঙ্গু ব্যক্তির কৃত্রিম পা লাগানো, ঠোঁটকাটা শিশুর ঠোঁট জোড়া লাগানোসহ ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকেন। ইতিমধ্যে এই চিকিৎসালয় থেকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন ১০৮০জন। ১৫২ জন ছেলে- মেয়েকে ফ্রি খতনা- নাক-কান ছিদ্র করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে বিনামূল্যে ১০ জন করে খতনা- ১০ জন করে নাক-কান ছিদ্র করা হয়।সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর ট্রাস্টের দারিদ্র বিমোচন পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম আল মাসুদ বলেন, দক্ষ নারী উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের অর্থায়নে সারাদেশে ৯২টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।এসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থী সংখ্যা রয়েছে কয়েক হাজার।এ পর্যন্ত ৩ হাজারও বেশি নারী সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে আত্মসাবলম্বী হয়েছে। এই ট্রাস্টের আওতায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য ১৩টি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করা হয়।যেখান থেকে অবহেলিত জনগোষ্ঠী অতি সহজে বিনামূল্যে ঔষধসহ স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন। রাউজান উপজেলার নোয়াজিষপুরে সৈয়দ রহিমুল্লাহ্ শাহ্ মাইজভাণ্ডারী দাতব্য চিকিৎসালয় থেকে বিগত এক বছরে ১০৮০ জন বিনামূল্যে ঔষধসহ চিকিৎসাসেবা এবং ৪০ জন নারী সেলাই কাজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এ কার্যক্রম প্রতি সপ্তাহে চলমান রয়েছে। ইউপি সদস্য তাঁজ উদ্দিন খান সোলাইমান বলেন, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট দরিদ্র্য মানুষের চিকিৎসা সেবা, দক্ষ নারী উন্নয়নে, এতিম, বিপন্ন শিশু, প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে ও সামাজিক নিরাপত্তামূলক বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করে মানবতার বাতিঘরে পরিণত হয়েছে এ ট্রাস্ট।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ