
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাউজান : প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় নদী সংলগ্ন পশ্চিম গহিরা হ্যাচারিতে উৎপাদিত ৪৪৭ কেজি পোনামাছ অবমুক্তকরণ করা হয়েছে। ২৩ মে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে পোনা অবমুক্ত উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: হেমায়েত হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের(বাস্তবায়ন শাখা) উপ পরিচালক সরকার আনোয়ারুল কবীর আহমেদ,মৎস্য অধিদপ্তরের (মৎস্য পরিকল্পনা ও জরিপ) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুদা খানম,জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, মৎস্য অধিদপ্তর হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের (২য় পর্যায়) প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, রাউজান মো: আলমগীর হোসেন আজাদী। এ সময় স্থানীয় মৎস্যচাষী মোস্তাক, হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারী রোসাঙ্গীর আলম, বখতিয়ারসহ স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা তাদের বি়ভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।এদিন অতিথিবৃন্দ হালদা প্রকল্পের আওতায় হালদা নদীর রাউজান ও হাটহাজারী অংশের তিনটি সরকারি হ্যাচারির সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারী ও পাহারাদারদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। পোনা অবমুক্ত শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: হেমায়েত হোসেন বলেন, হালদা নদী জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের পাশাপাশি হালদা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে ফটিকছড়ির রাবার ড্যামের বিরুপ প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করলে যুগ্ম সচিব মো: হেমায়েত হোসেন বিষয়টি আমলে নিয়ে এই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কার্যকর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেন।