রাউজানে প্রবাসীর ১২ কোটি টাকায় বদলে যাচ্ছে চার কিলোমিটার সড়ক পথ

IMG 20250502 WA0039

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

এম কামাল উদ্দিন, রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নে কমলার দিঘির পাড় থেকে কচুখাইন গ্রামের মোড় পর্যন্ত সড়কটি বর্ষা মৌসুমে বন্যার কারণে মানুষ এবং যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বহুবছর ধরে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কথা ভেবে এবার নিজ অর্থায়নে সড়কটি প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার আরসিসি পাথর ঢালায়ের মাধ্যমে সড়কটি করে দিচ্ছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আলহাজ্ব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রবাসী ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। গত বুধবার (৩০ এপ্রিল)  বিকেলে এই ১২কোটি টাকার উন্নয়নের কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়।জানা গেছে, সড়কটি পাশে ১৭ থেকে ২১ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করা হচ্ছে। যা আগে ছিলো ১০ থেকে ১২ ফুট। পাশাপাশি স্থায়ী টেকসই করতে দুপাশে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রতিরক্ষা দেয়াল এবং বন্যার পানিতে প্লাবিত না হতে দুই থেকে আড়াই ফুট উঁচু করে ভরাট করে ঢালায় দেয়া হচ্ছে পুরো চার কিলোমিটার সড়ক। এছাড়া পুরো সড়কজুড়ে বসানো হবে সড়ক বাতি, এলাকার নিরাপত্তা জন্য বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও সড়কের সৌন্দর্য বাড়াতে লাগানো হবে দু’পাশে খেঁজুর গাছ এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে সুপেয় পানির চাহিদা মেঠাতে বসানো হবে ১০ টি গভীর নলকুপ।সড়কটির শুরু চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কমলারদিঘি পাড়ে স্থাপন করা হবে জনসাধারণের জন্য পাবলিক শৌচাগার এবং যাত্রি চাউনি। এই কাজে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে ধারণা এলাকা বাসির। যা সম্পূর্ণ এককভাবে প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের ব্যক্তিগত অর্থ্যায়ণে ব্যয় করা হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ এই কাজে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে তা প্রকাশ করতে চাননা।স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তারা বলেন, বিগত সময়ে দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার কাজ না করায় এবং বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে সড়কটি চলাচলে অচল হয়ে পড়ে। এতে যান চলাচলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। একারণে দীর্ঘস্থায়ী টেকসই সড়ক করার এ উদ্যােগ নেন এলাকার কৃতি সন্তান প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।এছাড়া স্থানে স্থানে যেসব সেতু-কালভার্ট সংকোচিত ছিলো সেগুলোর দুপাশে বিকল্প সেতু সংযোগ করে প্রশস্ত করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত দুই মাস ধরে চলছে এই সড়ক নির্মাণের কাজ। ২০০ এর বেশী শ্রমিক দিন রাত কাজ করছে যেন দ্রুত সড়কটি তৈরী করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যেতে পারে।জানতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দা ও নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যাকয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মাস্টার বলেন, এই সড়কটি দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকায় যান চলাচলে দুর্ভোগে ছিলো ৫ থেকে ৭ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। এখন যেভাবে পাথর ঢালায় দেয়া হচ্ছে সেটি দীর্ঘস্থায়ী টেকসই হবে। পাশাপাশি সড়ক বাতি, নলকুপ এবং সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় চলে আসবে পাচঁ থেকে সাতটি গ্রাম গ্রাম। কারণে এলকার জন নিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিত হবে। ব্যক্তি উদ্যােগে এরকম এত বিপুল ব্যয়ে সড়ক নির্মাণের কাজের রেকর্ড এদেশে নেই বললে চলে।কচুখাইন গ্রামের মোড় হতে সড়কটির ঢালায় কাজ উদ্বোধন করা হয়। অতিথি থেকে উদ্বোধন করেন এই কাজের উদ্যােক্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের বড় ভাই আলহাজ মুহাম্মদ রফিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ মুহাম্মদ মোখতার, আলহাজ মুহাম্মদ আবু তাহের। দোয়া ও মোনাজাত করেন সামমাহালদার পাড়া তাকওয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি হাফেজ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবু তাহের, সমাজ সেবক আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইয়াছিন, ফারুকে আজম, প্রকৌশলী মুহাম্মদ নুর আম্বিয়া,প্রবাসী জালাল আহমদ, সরোয়ার হোসেন, প্রবাসী ফরিদুল আলম, ইউপি সদস্য মাসুদ পারভেজ, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

 

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ