নিজস্ব প্রতিবেদক, রাউজান : রাউজানে বাগোয়ান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদুল আলম মুরাদের (৩৫) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ০১ নম্বর ওয়ার্ডের গশ্চি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।অভিযোগ থেকে জানা যায়, নুরুল আমীন প্রবাস থেকে দেশে ফিরলে গত ১ সপ্তাহ আগে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বসেন তারই ভাতিজা সাবেক ছাত্রদল নেতা মুরাদ। চাঁদা না দেওয়া গত রবিবার চালানো হয় হামলা, পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় নুরুল আমিন, তার ভাই এসকান্দর মিয়া ও নুরুল আমীনের ছেলেকে। এ ঘটনায় রাউজান থানায় ভাতিজার বিরুদ্ধে এজাহার দিয়েছেন নুরুল আমীনের ভাই মো. এসকান্দর মিয়া। চাঁদা না দেওয়ায় হামলা চালানোর বিষয়টি ফেসবুক লাইভে প্রচার করেন চাচার নুরুল আমীন। ২৮ এপ্রিল সোমবার আবারও ফেসবুক লাইভে এসে তার রাউজানের বাড়িটি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইউসুফ তালুকদারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছে বলে দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নুরুল আমীন। অভিযোগের বিষয়ে ইউসুফ তালুকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা।তিনি আরও বলেন, নুরুল আমীন আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইমাম গাজ্জালী কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তাছাড়া গত ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ইউপি চেয়ারম্যান ভূপেষ বড়ুয়াকে দিয়ে ঘরের সিড়ি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সালিশি বৈঠকে স্বাক্ষর নিয়ে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা মুরাদুল আলম মুরাদ বলেন, আমাদের মধ্যে পূর্বের দ্বন্দ্ব ছিল। সামাধানও হয়েছিল। সামাজিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে মামলা করেছিল তারা। রবিবার সামাজিক বৈঠক ছিল। উত্তেজনার মধ্যে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের শার্ট নিজে খুলে বিষয়টিকে রাজনৈতিক রুপ দিয়ে মিথ্যাচার করেন।এ প্রসঙ্গে প্রবাসী নুরুল আমীন বলেন, আমি দেশে আসার পর গত ০১ সপ্তাহ আগে বাড়িতে গিয়ে ছিলাম। আমাকে আটকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সাবেক ছাত্রদল নেতা মুরাদসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। আমি চাঁদা না দিলে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। আমি চাঁদা না দেওয়ায় রবিবার আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমার আত্মীয় স্বজনরা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে শহরে পাঠিয়ে দেয়।পরে আমার ভাই থানায় গিয়ে এজাহার দেন। আমি এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়নি, কিভাবে কলেজ ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকবো। আর ২০১২ সালে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করেছিলাম। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়।অভিযোগের বিষয়ে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, এজাহার পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে চাঁদাবাজির সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে পূর্বের দ্বন্দ্ব ছিল।
চট্টলা প্রতিদিন, মোবাইল : ০১৮১৭ - ৭৬৬৭৭১ - ইমেইল : [email protected]
© All rights reserved © 2023 Chattala Protidin