
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি :ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের হাইদচকিয়া গ্রামের কয়েকশ’ পরিবারের সদস্যদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল বিলের মাঝে তিন ফুট প্রশস্থ একটি আইল। যেটিকে সড়কে উন্নীত করতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতায় পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। অবশেষে সেই জটিলতার অবসান হয়ে সেখানে নির্মিত হচ্ছে ২৬০ ফুট দৈর্ঘের ও ৮ ফুট প্রস্থের সড়ক। দীর্ঘদিন পর নিজেদের বহু কাঙ্খিত সড়ক পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ওই এলাকার বাসিন্দরা। সাথে সড়কটি নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের হাইদচকিয়া গ্রামের চমদ বাড়ী ও সিকদার বাড়ির বাসিন্দারা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বিলের মাঝে একটি আইল দিয়ে চলাচল করে আসছিলেন। সেখানে একটি সড়ক নির্মাণের দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি হওয়ায় সেখানে সড়ক নির্মাণে বার বার বাঁধায় পড়েন তারা। ফলে সড়কটি দীর্ঘদিন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এতে করে লোকজন দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এবার তাদের সেই দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে। সেই আইল রূপ পাচ্ছে সড়কে। এতে খুশিতে আত্মহারা স্থানীয় বাসিন্দারা । সড়কের নামকরণ হয়েছে ‘বারৈয়ারঢালা টু চমদবাড়ি সড়ক’। দীর্ঘ ২৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের বিশেষ বরাদ্দে নির্মিত হচ্ছে বলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাক করে বাহির থেকে মাটি এনে ভরাট করা হচ্ছে সড়কটি।নিজেদের স্বপ্নের সড়ক নির্মাণের দৃশ্যটি দাঁড়িয়ে দেখছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা। দীর্ঘদিন পর নিজেদের কাঙ্খিত সড়ক পেয়ে খুশিতে আত্মহারা স্থানীয় বাসিন্দারা।ইখতিয়ার আজিম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন পর একটি সড়ক পেয়েছি। সেই কাঙ্খিত সড়ক পেয়ে আমরা আনন্দিত। এ সড়ক নির্মাণে যারা সহযোগিতা করেছে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমুল হক লিটন বলেন, ‘সড়ক নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা অবসান হয়েছে। অবশেষে আজ মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। এ সড়ক নির্মাণে উদ্যোগ নেয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সরওয়ার হোসেন স্বপনকে অশেষ ধন্যবাদ। আমরা এলাকাবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’এ ব্যাপারে পাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সরওয়ার হোসেন স্বপ্নন বলেন, ‘আমরা অতীতে অনেকবার চেষ্টা করেছি সেখানে সড়ক নির্মাণের বিষয় নিয়ে। কিন্তু জমিগুলো ব্যক্তি মালিকানা হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। সেখানে দু’পক্ষের জটিলতা ছিল। সেই জটিলতা অবসান হয়েছে। সেখানে নির্মিত হচ্ছে সেই কাঙ্খিত সড়ক। এতে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমবে স্থানীয়দের।’এর আগে, গত শনিবার (১২ এপ্রিল) হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সরওয়ার হোসেন স্বপনের সভাপতিত্বে এক বৈঠক হয়। বৈঠকেই মূলত উভয় পক্ষের লোকজন সড়কটি নির্মাণে একমত পোষন করে। পরে দ্রুত সময়ে সড়কটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।