
নিজস্ব প্রতিবেদক ফটিকছড়ি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সীমানা বিরোধের ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন বলে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী একাধিক পরিবার। বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সম্পত্তির মালিক স্বপন চক্রবর্ত্তী ও গৌরী শংকর চক্রবর্ত্তী।লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, আমাদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে বুধবার সকালে জমির ক্রয়সূত্রে মালিক আহমদ উল্লাহ নয়ন নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে সুনির্দিষ্ট স্থানে ঘেরাও দিতে গেলে প্রতিপক্ষ আমাদের প্রতিবেশি সুপ্তি রানী পাল, রিপন পাল, সুভ পাল, জয় চক্রবর্তীসহ ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন লাটি সোটা নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে আমরা ৫-৬জন আহত হই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ভূমি খেকো লোভী প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা সংখ্যালঘু নির্যাতন বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।আমরা দৃঢ়তার সাথে বলছি, এ ঘটনাটি কোন ভাবেই সাম্প্রদায়িক নয়। তারা এটি ভিন্নখাতে প্রভাহিত করতে সংখ্যালঘুর ইস্যু এনে এসব ভোগ করতে চাইছেন। তারা দাবী করেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলার যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।’তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘আমাদের কেনা জায়গায় আদালতের কোন হস্তক্ষেপ নেই। অন্য জায়গার বিচারাধীন মামলাকে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা সীটের জায়গা অবৈধভাবে নিজেদের দখলে রেখেছেন। তারা কোনভাবেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ মানছেন না। তাছাড়া তাদের নির্যাতনে এলাকার বহু সনাতনী পরিবার ইতিমধ্যে ঘরছাড়া। ভূক্তভোগীদের বক্তব্য, আমরা উভয়েই সনাতন ধর্মাবলম্বী। প্রতিপক্ষরা অসৎপকৃতির হওয়ায় জমি তাদের দখলে রাখতে পায়তারা করছে। পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে তাড়াতে চাচ্ছে। আমরা আইনেই তা মোকাবেলা করবো। ফলে এই জগন্য অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং প্রতিপক্ষের নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ চাই। এর আগে, ফটিকছড়ি পৌরসভার পালপাড়ায় চলাচলের একটি রাস্তা দখলের চেষ্টা এবং সংখ্যালঘুর ওপর হামলার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। তাদের নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন ভূক্তভোগীরা।সংবাদ সম্মেলনে লাকী চক্রবর্ত্তী, দোলা ভট্টাচার্য্য, অমি চক্রবর্ত্তী ও অমিত চক্রবর্ত্তী উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের সৈকত পাল বলেন, ‘এখানে গোত্রিয় কোন বিষয় জড়িত নয়। সন্ত্রাসীরাই আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে হামলা চালান। এসময় তারা সংখ্যালঘু হিসেবে অমানবিক নির্যাতন করেন। আমরা বিষয়টি থানা প্রশানকে জানিয়েছি।’ ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়ে আপাতত কাজ বন্ধ করেছি। আদালতের নির্দেশনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’