
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নেছারিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ খ্যাতিমান আলেমেদ্বীন শায়খুল হাদিস আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন- ইসলামী জীবন বিধানে কুরআনে হাকীমের পরপরই হাদীসের স্থান। কুরআন মজীদের শিক্ষা ও নির্দেশসমূহ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর করার জন্য রাসুল (স.) যে পন্থা অবলম্বন করেছেন, তা হচ্ছে হাদীস। সুতরাং কোরআন-হাদিসের যথার্থ চর্চা ও মাহাত্ম্য অনুধাবন করা গেলে জাতীয় জীবনে একটি সুন্দর, সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠা অধিকতর সম্ভব। হাদিস বিশারদগণ বলেন- ইসলামী শরীয়ায় কোরআন ও সুন্নাহ এ দুটি মূলনীতি পরস্পর আঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ দুটির একটিকে বাদ দিয়ে শরীয়তের কথা চিন্তা করা নিতান্তই অমূলক। কুরআনের যে কোন বিধানের উপর আমল করতে হলে হাদিসের আবশ্যকীয়তা মোটেও উপেক্ষিত হবার নয় বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। তাঁরা আরও বলেছেন- একটি দুষ্টচক্র হাদীস অস্বীকার করে মুসলিম কমিউনিটিতে অবাঞ্ছিত ফেতনা-ফাসাদ জিইয়ে রেখেছে। হাদীসের শ্বাশত আদর্শ থেকে মুসলমানদের বিচ্যুত করতে বহুমাত্রিক ফন্দি-ফিকির অব্যাহত রেখেছে। একদিকে একটি মহল নিজেদের আহলুল কোরআন দাবি করে কোরআনকে যথেষ্ট মনে করে হাদিসকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে, আবার কেউ নিজেদের আহলে হাদিস দাবি করে ইসলামে বিভাজন সৃষ্টির ঘৃন্য পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছে। এদের এ কনসেপ্টকে তাঁরা বাতুলতা বলে অভিহিত করেন। কেননা কুরআন-সুন্নাহর সমন্বিত রূপই হচ্ছে ইসলাম। বহুমূখী সেবাধর্মী সংস্থা আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ (একেএমবি) এর উদ্যোগে মহান ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় অদ্য ৩০ সেপ্টেম্বর ‘২৪ সোমবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম ষোলশহরস্থ এলজিইডি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১২তম পবিত্র দরসুল হাদিস মাহফিলে হাদিস বিশারদগণ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংস্থার চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী জসিম উদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান দরসকারী হিসেবে দরস পেশ করেন- প্রতিথযশা আলেমেদ্বীন শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। অন্যান্যদের মধ্যে দরস পেশ করেন-অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দিন, পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী, শায়খুল হাদিস আল্লামা এনামুল হক সিকদার। শায়খুল হাদিস আল্লামা আশিকুর রহমান আলকাদেরী, শাহজাদা এরশাদ সোলাইমান ঈসাপুরী আল মাইজভাণ্ডারী, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- স ম হামেদ হোসাইন। মাহফিল প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব এম ওয়াহেদ মুরাদ এর সঞ্চালনায় মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- লায়ন মোহাম্মদ রফিক কোম্পানি, আলহাজ্ব মাওলানা ছালেহ আহমদ আনছারী, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী আব্দুল হান্নান, মাওলানা শফিকুল ইসলাম আসসাঈদী, অধ্যক্ষ ছৈয়দ মাওলানা জসিম উদ্দিন তৈয়বী, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের আহমদ সিদ্দিকী, মাওলানা আবদুল আজিজ রেজভী, অধ্যক্ষ মাওলানা সেলিম উদ্দীন আনোয়ারী, অধ্যক্ষ আল্লামা হেলাল উদ্দীন আলকাদেরী, অধ্যাপক ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যাপক মাওলানা স ম শহিদুল হক ফারুকী, মাওলানা শাকের আহমদ চৌধুরী, মাস্টার আবুল হোসেন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেজামী, মাওলানা ছৈয়দ রফিকুল ইসলাম তাহেরী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুদ্দোহা, আলহাজ্ব মাওলানা জানে আলম নেজামী, ডি আই এম জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা জয়নাল আবেদীন জিহাদী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা নাছির উদ্দীন আনোয়ারী, মাওলানা সেলিম উদ্দীন আনোয়ারী, মাওলানা শফিউল আজম, মাওলানা এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, মাওলানা সোলাইমান আনসারী, মাওলানা মহিউদ্দিন তাহেরী নক্সবন্দী, মাওলানা নাজিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা সিদ্দিক আকবর মেহেরী, মাওলানা সানাউল্লাহ শিবলী, মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, পীরজাদা কাজী এরশাদ উল্লাহ রজায়ী, মাওলানা জিয়াউল হক বিপ্লবী, কাজী আহসানুল আলম, এস এম আবু সাদেক ছিটু, প্রমূখ। পরিশেষে দেশ-জাতির কল্যাণ সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মুনাজাত ও তাবরুক বিতরণের মাধ্যমে মাহফিলের পরিসমাপ্তি ঘটে।