নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি: পিলখানা হত্যাকান্ড, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে লাশের উপর নৃত্য, জুডিশিয়ালি কিলিং এর মাধ্যমে জামায়াতের ৫ নেতাকে হত্যা এবং ৬ নেতাকে জেলে পুড়ে বিভিন্ন নির্যাতন ও চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক হাজারেরও অধিক ছাত্র জনতাকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে শেখ হাসিনার নির্দেশে। এসব হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে আজকের এই সমাবেশ থেকে ফাঁসির দাবী করছি।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ফটিকছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বিশাল এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মোঃ নুরুল আমিন চৌধুরী। জামায়াতে ইসলামী ফটিকছড়ি পাইন্দং শাখার আমির মোঃ নবির হোসেন মাসুদের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে উত্তর জেলা আমির আরো বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে আয়নাঘর তৈরি করে বাংলাদেশের হাজার হাজার বুদ্ধিজীবি, কৃষক, ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে আয়নাঘরে বন্দি করে করে হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে। এই ইতিহাস আমাদের সবার জানা। আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনাকে বলে গণতন্ত্রের মানস কন্যা। আমরা বলতে চাই, শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে গণতন্ত্রের লাগাম টেনে ধরে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এতে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শুধু তাই নয় শেখ হাসিনা আরো বলেছিল জাতীর জনকের কন্যা পালায় না। আমরা দেখতে পেলাম শেখ হাসিনা কাউকে কিছু না বলে, এমনকি দলের নেতাকর্মীদেরও কিছু না বলে, তল্পিতল্পা নিয়ে পালিয়েছে। এটাই হচ্ছে তাদের ইতিহাস। তার বাবা শেখ মুজিবও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান পালিয়ে গিয়েছিল। ফটিকছড়ি থানা শাখার সেক্রেটারি ইউচুপ বিন সিরাজ ও পাইন্দং শাখার সেক্রেটারি এরশাদ উল্লাহ’র যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি থানা আমীর মাস্টার নাজিম উদ্দীন সিকদার, সাবেক আমীর মাওলানা নুরুল আলম আজাদ, শহিদুল ইসলাম আজিজী, শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম, এজহার মিয়া, এডভোকেট ইসমাইল গণি, সাইরান কাদের চৌধুরী, জি এম ইলিয়াস, এডভোকেট আলমগীর মুহাম্মদ ইউনুস, গাজী বেলাল, সম্রাট আকবার, নাঈম উদ্দিন প্রমূখ।