

নিজস্ব প্রতিবেদক, লামা, বান্দরবান : বান্দরবানের লামা পৌরসভায় অর্ধলক্ষ মানুষের জন্য প্রতি সপ্তাহে বরাদ্দ দুই টন ওএমএস চাল। সরকারের ওএমএস কেন্দ্রে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় অসংখ্য নিম্ন আয়ের মানুষকে। চাহিদার তুলনায় ওএমএস চালের বরাদ্দ খুবই সল্প হওয়ায় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের দূর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওএমএস কেন্দ্রের চালের জন্য এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারণ দরিদ্র মানুষকে। পাহাড়ী ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বিবেচনায় ওএমএস চালের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য খাদ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর ও পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, লামা পৌরসভায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। তবে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে সরকারের ন্যায্য মূল্যের (ওএমএস) কেন্দ্র রয়েছে ছয়টি। সপ্তাহে ৫ দিনে প্রতিদিন দুই মে. চাল দুটি কেন্দ্রে বিক্রয় করা হয়। যার কারণে কেউ পায়,আর কেউ খালি হাতে ফিরে যায়। ছোট নুনার বিল পাড়ায় পলি দাশ (৪০), লাইন ঝিরি ছরোয়ার উদ্দিন (৩৮) ও লামা মুখ এলাকায় উথোয়াই মার্মা (৩০) জানান, বর্তমানে চালের মূল্য বেশী। ওএমএস কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে বাড়ী ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। বাজার থেকে উচ্চ মূল্যে চাল কিনে খাওয়া আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। লামা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন জানান, প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায়, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ চাল পাচ্ছে না। কেন্দ্রে এসে বেশিরভাগ মানুষ চাল না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। বাজার থেকে চাল কিনতে নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলো হিমশিম খাচ্ছে। লামা পৌরসভার সাবেক মেয়র আমির হোসেন জানান, পাহাড়ী এলাকায় চালের সংকট এমনিতেই বেশী। তাছাড়া এলাকায় গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যা বেশী। সরকার ওএমএস এর যে বরাদ্দ দিচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। লামা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. সেলিম হেলালী জানান, সরকার লামা পৌরসভার জন্য প্রতিদিন ২ মে.টন ওএমএস চাল বরাদ্দ দিয়েছেন।তবে চালের যথেষ্ট চাহিদা আছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। লামা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (অ:দা:) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব জানান,এই বিষয় টা নিয়ে আমি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলে বরাদ্দ বাড়ানো যায় কিনা চেষ্টা করবো।
