

এম কামাল উদ্দিন : রাউজানে মুহাম্মদ বাপ্পি (২৯) নামের এক তরুণ বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে আহত হওয়ার তিনদিন পর হাসপাতালে মারা গেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধিণ অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই তরুণ পানি সঞ্চালন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ কাজের কারিগর। সেই উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছামিদর কোয়াং গ্রামের বাসিন্দা মৃত মুহাম্মদ রানার একমাত্র সন্তান। নিহত বাপ্পির ৮ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তাঁর লাশ রাউজানে আনা হয় এবং জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।পরিবারের সদস্যরা জানায়, নিহত বাপ্পি পানি সংঞ্চালন সংযোগ ও আবাসিক বৈদ্যুতিক সংযোগ কাজের কাজ করতেন। গত সোমবার একই ইউনিয়নের পথেরহাট বাজারের একটি বাণিজ্যিক ভবনে কাজ করছিলেন তিনি। কাজ শেষ না হওয়ায় সন্ধ্যার পরও তিনি কাজ চালিয়ে নেন। এক পর্যায়ে ভবনের পাশ ঘেষা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মারা যান। নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, তিনদিন আগে ওই তরুণ ছেলেটি একটি ভবনে বৈদ্যুতিক কাজ করছিলেন। এসময় তিনি পাশঘেষা বৈদ্যুতিক সংযোগের তারে জড়িয়ে তিন তলা থেকে নিচে পড়ে যান। প্রথমে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট হাসপাতালে মারা যায়।
