রাউজানে বন্যায় ক্ষতবিক্ষত সড়ক, পাঁচ শতাধিক পরিবারের ভরসা বাঁশের সাঁকো

IMG 20240824 235634

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাউজান : গত কয়েকদিনের বন্যায় রাউজানের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পানিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। ভাটার সময় পানি নেমে যাওয়ার পর দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে প্রতিটি এলাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থা। সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে এখনো নিমজ্জিত আছে উপজেলার নিন্মাঞ্চল গুলো। উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া, রূপচাঁদনগর, মগদাইসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মগদাই ডাঃ রাজা মিয়া সার্বজনীন সড়ক। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের বেশ কিছু স্থান সম্পূর্ণ তলিয়ে যাওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে ফলে এলাকার ৫ শতাধিক পরিবারের নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বন্যার পানি সড়কের হাঁটু পরিমান উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ার কারণে সড়কটির মাইজপাড়া কাশেম আলী সওদাগর বাড়ি সন্মুখস্থ স্থানে ৪০ ফুটের মতো সড়ক সম্পূর্ণ পানির স্রোতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বেশ কিছু স্থানে বিটুমিন ও কংক্রিটের স্থর তলিয়ে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের বিধ্বস্ত অংশের উপর ২০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো নির্মান করে। বর্তমানে কয়েক হাজার পরিবারের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি। এছাড়া পশ্চিম নোয়াপাড়া, মোকামীপাড়া, সামমাহালদারপাড়া, ছামিদর কোয়াং, কচুখাইন, দক্ষিণ নোয়াপাড়া; উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম, সওদাগরপাড়া, সুজারপাড়া, পূর্ব উরকিরচর, খলিফার ঘোনা ও বৈইজ্জাখালি,বাগোয়ান, গহিরা, নোয়াজিশপুর, চিকদাইর, হলদিয়া,ডাবুয়াসহ কয়েকটি গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছেন। হালদা নদীর তীরবর্তী নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ছামিদর কোয়াং, মোকামী পাড়া ও উরকিরচর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামে ঢোকার দুটি সড়ক কোমর সমান পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার গ্রামীণ সড়ক গুলোর নাজুক অবস্থা,অনেক গ্রামীণ সড়কের রাস্তা বন্যার পানিতে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, বিগত সময়ে সড়কের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থ নয় ছয় করা হয়েছে। লোক দেখানো সংস্কার কাজের ফলে সড়কটি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে জন ও যান চলাচলে সারাবছর ভোগান্তি পোহাতে হয় হাজার হাজার মানুষের।
২৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে সড়কের বিধ্বস্ত অংশ পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের দুর্ভোগের বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেন। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, রাউজানে সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন সড়কের বিধ্বস্ত অংশের সংস্কারের বিষয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ