রাউজানে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মহাশ্মশান ভাঙচুরের অভিযোগ

received 465752503099516

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজানে সর্ত্তা গহিরা পল্লী মঙ্গল সমিতির মহাশ্মশান ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সর্ত্তা গহিরা পল্লী মঙ্গল সমিতির নেতৃবৃন্দ। রাতের অন্ধকারে রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের বড়পুল এলাকায় স্থানীয় নুপুর দত্ত ও তার ভাই বাদল দত্ত ভাঙচুর করে জায়গা দখলের চেষ্টা করেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। ১৬ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন রাউজান থানার ডিউটি অফিসার মনিতোষ চাকমা। এর আগে সকালে শ্মশান সংলগ্ন সড়কের পাশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্মশান ভাঙচুরে জড়িত নুপুর দত্ত ও তার ভাই বাদল দত্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা সদীপ দে বলেন, ‘আমাদের প্রাচীন মহা শ্মশানটি দীর্ঘদিন ধরে নুপুর দত্ত ও বাদল দত্তের দখলে নিয়েছিল। গত কয়েকমাস আগে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সর্ত্তা গহিরা পল্লী মঙ্গল সমিতির মহাশ্মশানে দাহ করার জন্য পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে। রাতে অন্ধকারে ভেঙে দিয়েছে নুপুর দত্ত ও তার ভাই বাদল দত্ত। আমরা তাদের শাস্তি দাবি করছি।’ সর্ত্তা গহিরা পল্লী মঙ্গল সমিতির সভাপতি ডাক্তার উত্তম পালিত বলেন, ‘আমাদের এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু নুপুর দত্ত ও তার ভাই বাদল দত্ত মিলে আমাদের শ্মশান ভাঙচুর করেছে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আজ আমরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছি। আমাদের দাবি হচ্ছে নুপুর দত্ত ও তার ভাই আমাদের নব-নির্মিত মহাশ্মশানর ভাঙচুর করেছে। তাদের অর্থায়নে পুনরায় নির্মাণ করে দিতে হবে। তা না হলে তাকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। অভিযুক্ত নুপুর দত্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার ভাইকে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় একটি আশ্রমে আছেন বলে সংবাদ পেয়ে সেখানে গেলেও তাদের পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। সূত্র জানিয়েছে,শ্মশান ভাঙচুরের পর থেকে তারা দুই ভাই পলাতক রয়েছেন। রাউজান থানার ডিউটি অফিসার মনিতোষ চাকমা বলেন, মহাশ্মশান ভাঙচুরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, থানার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ