

এম কামাল উদ্দিন: রাউজানে এক গ্রাহকের ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত ১৫ লাখ টাকা লুটের উদ্দেশ্যে গ্রাহকের ঘর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রাউজান থানা পুলিশ। এই ঘটনায় তাদের ব্যবহৃত একটি হাইয়েস গাড়ী, যাহার রেজিঃ নং-চট্টমেট্রো-চ- ১১-৬২১৪,ও একটি রেজিষ্টেশন বিহীন একটি apache 4v মডেলের মোটর সাইকেল, রামদা, কিরিচ জব্দ করা হয়। আটক কৃতরা হলেন, মো. সোহেল (২৫), মুসলিম উদ্দিন খান (২৫), হায়দার আলী (৩২), মোহাম্মদ তারেক (২২), মহিউদ্দিন (২৪), আবু সিদ্দিক (৩৬), মোহাম্মদ ইমন (২২), আল কাদের শরীফ (২১),শহিদুল ইসলাম সাকিব (২৩), সাইফুল ইসলাম সাকিব (২১),সুজিবুর রহমান খান (২০),সোহল (২৪), মো. মোরশেদ (২৫), মো. শওকত আলম (২১)। আটককৃতদের মধ্যে ১২ জনের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া ও আর দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়,অন্য আর একজনের বাড়ি ১৪ নং শিকারপুর ইউনিয়নের হাটহাজারী এলাকায় বলে পুলিশ জানায়, ইসলামী ব্যাংকের নজুমিয়াহাট উপশাখার গ্রাহক ইদ্রিস নিয়মিত টাকা উত্তোলন করতেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ওই উপশাখা থেকে তিনি ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করতে গিয়েছিলেন। ইদ্রিসের মোটা অংকের টাকা লেনদেনের বিষয়ে ধারণা ছিল ইসলামী ব্যাংকের নজুমিয়াহাট উপশাখার সাবেক পিয়ন মোসলেম উদ্দিন খান ওরফে সায়েমের। সায়েম তথ্য চেয়েছিল ওই উপশাখার বাবুর্চি তারেকের কাছ থেকে। শুধু তথ্য নয় ছবিসহ পাঠিয়েছিল তারেক। রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার চট্টগ্রাম -কাপ্তাই মহা সড়কের উরকিরচরের শেখ আলী স মিল এলাকায় সড়কের উপর মাইক্রো নিয়ে বেশ কিছু অপরিচিত যুবক অবস্থান করায় উপ পরিদর্শক টুটুন মজুমদারের নেতৃত্বে রাউজান থানা পুলিশের টহল দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে তারা ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত ইদ্রিচ নামের এক গ্রাহকের ১৫ লাখ টাকা লুটের পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে আরো বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু শেষে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃদের মধ্যে সোহেল, আবু ছিদ্দিক, মহিউদ্দিন, হায়দার আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
