এম কামাল উদ্দিন : চট্টগ্রামের রাউজানের হালদা নদীর শাখাখালে নিখোঁজ হওয়া শাহেদ হোসেন বাবুকে ২২ ঘন্টা পেড়িয়ে গেলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত সোমবার সন্ধ্যায় নিজের মৎস্য খামার থেকে নৌকা যোগে ফেরার পথে বাড়ীঘোনা ব্রিজ সংলগ্ন খালে নিখোঁজ হন তিনি। দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে যাওযার পরও শাহেদ হোসেন বাবু উদ্ধার না হওয়ায় মুষড়ে পড়েছেন তার স্বজন ও বন্ধুরা। এলাকায় শোকের ছায় নেমে এসেছে।
ওই নৌকা থেকে ৫ জন পড়ে ৪ জন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও সাঁতার না জানা ওই ব্যবসায়ী খালে বন্যার পানির স্রোতে তলিয়ে যান। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে নানাভাবে উদ্ধারের তৎপরতা চললেও জীবিত কিংবা মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ সাহেদ হোসেন বাবু ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের সাহেদ উপজেলার উরকিরচর উত্তর উরকিরচর গ্রামের উজির আলী মিয়াজির বাড়ির ব্যবসায়ী মরহুম এস.এম ইউছুফের বড় ছেলে। উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল জানান, সাহেদের বাড়ির অদূরে তার মাছ, গরু, মহিষের প্রজেক্ট রয়েছে। প্রজেক্টটি রবিবার বন্যার পানিতে ডুবে যায়। সেটি দেখতে গত (সোমবার) সন্ধ্যায় কয়েকজন সহ ওই প্রজেক্টে যান সাহেদ। প্রজেক্ট থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টা দিকে অপর ৪জনসহ নৌকায় করে ফেরার পথে হালদা নদীর শাখা বাড়িঘোনা খালের উপর নির্মিত লোহার ব্রিজের সাথে ধাক্কা লেগে নৌকা পড়ে যান সাহেদসহ ৫জনই। বেঁচে ফেরা ৪জনসহ স্থানীয় বহু বাসিন্দা সাহেদ হোসেন বাবুর খোঁজে ওই খালের পাড়ে অবস্থান করছেন।’ রাউজান ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,সড়কের বিভিন্নস্থানে পানি বেশি থাকায় যথাযথ সময় পৌঁছতে পারিনি ।উদ্ধার কাজ চলমান রেখেছি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ রয়েছে। এখনো নিখোঁজ ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, সাহেদ দুই ভাইয়ের মধ্যে পরিবারের বড় সন্তান। তার বাবা ইউসুফ চৌধুরী ছিলেন এলাকার দানবীর।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে এসে নৌ-পুলিশের সাথে কথা বলেন রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।