মিরসরাইয়ে সম্পত্তির বিরোধকে  মসজিদে তালা বন্ধ থাকায় হয়নি যোহর ও আছরের নামাজ

received 552574863864288

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই: মিরসরাইয়ে সম্পত্তির বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের শেখ আহম্মদ মৌলভী বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। তালা লাগানোর কারণে মসজিদে জোহর ও আছর এর আজান এবং নামাজ পড়ানো হয়নি। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙ্গে মাগরিবের নামাজের ব্যবস্থা করেন। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা বলেন, মসজিদের মোতোয়াল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের আহম্মদ ও তার ভাই আবু জাফরের মাঝে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। সোমবার সকালে বাড়িতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আবু জাফর, তার স্ত্রী আলেয়া, মেয়ে আসমা ও ছেলে নাছির উদ্দিন বাড়ির সামনে থাকা মসজিদের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন এবং হুজুরকে নামাজ পড়াতে নিষেধ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মুসল্লিরা মসজিদ এলাকায় ছুটে আসেন। এসময় ফরিুদুন্নবী, ছাফা সহ কয়েক জনকে আঘাত করেন আবু জাফর, আলেয়া, আসমা ও নাছির উদ্দিন। পরবর্তীতে আমরা গ্রামবাসী একত্র হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় গেলে পুলিশ এসে সন্ধ্যায় তালা ভেঙ্গে মসজিদের দরজা খুলে দেন। এসময় মসজিদের মাইকে আজান দিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করা হয়। তিনি আরো বলেন, এঘটনায় মুসল্লিদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মোতোয়াল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের আহম্মদ বর্তমানে দেশের বাহিরে রয়েছেন বলে তিনি জানান। এসময় মসজিদের ইমাম মো. হাসান বলেন, সোমবার সকাল ১১ টায় আমি মসজিদের ভেতরে ছিলাম। এসময় আবু জাফর, ছেলে নাছির উদ্দিন, মেয়ে আসমা ও তাঁর স্ত্রী এসে আমাকে বলে আজ থেকে মসজিদে আজান চলবেনা। আজান দিলে আপনার খবর আছে। খবরদার আজান দিলে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর জোহরের নামাজের সময় মুসল্লীরা নামাজ পড়তে আসলে তাদের সাথে জাফর গংদের হাতাহাতি হয়। তখন জোহরের আজান ও নামাজ হয়নি। এরপর তালাবদ্ধ থাকায় আছরের আজান এবং নামাজও হয়নি। এরপর বিষয়টি জোরাগঞ্জ থানায় অবহিত করলে তাঁরা এসে তালা ভেঙ্গে দিলে মাগরিবের আজান ও নামাজ আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নামাজ আদায় করেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন বলেন, জায়গা জমির বিরোধে ধরে আমার ওয়ার্ডের একটি মসজিদে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তালা দেওয়ার কারণে দুই ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা যায়নি। পরে পুলিশ এসে তালা খুলে দেয়। জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, দুর্গাপুরে একটি মসজিদে তালা দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দিয়েছে। এরপর মাগরিবের আজান ও নামাজ আদায় হয়েছে।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ