ভারতে ইন্তেকাল করেছেন রাউজানের মাওলানা হাজী ইউছুফ কওমি অঙ্গনে শোক

IMG 20240910 WA0047

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

এম বেলাল উদ্দিনঃ কওমি অঙ্গনের বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন রাউজান সদরস্ত জলিল নগর ছৈয়দুশ শোহাদা (রাঃ)মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়াডের বাসিন্ধা মাওলানা মুহাম্মদ ইউছুফ প্রকাশ হাজি সাহেব হুজুর ভারতে ইন্তেকাল করেছেন।ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হে রাজিউন।তারঁ বয়স হয়েছিল ৬৪বছর কয়েকমাস।তিনি হাজী মরহুম মফিজের ছেলে।স্ত্রী,১ছেলে,৩মেয়ে সহ হাজার হাজার ছাত্র ভক্ত অনূরক্ত ও গুনগ্রাহী রেখে যান নিরবে দান কারী এ আলেমেদ্বীন।জানাগেছে গত ৭সেপ্টেম্বর বিমানযেগে তিনি ঢাকা থেকে ভারতের দিল্লীর ছাহারামপুর একটি কওমি মাদ্রাসার সমাবর্তন অনুষ্টানে অথিতি হিসাবে যোগদান করতে বাংলাদেশ ছাড়েন।সেদিন মাদ্রাসার অনুষ্টানে যোগ দিয়ে বিদায় অনুষ্টানে বক্তব্যেও রাখেন।রাতে আজমির শরিফে জেয়ারতের উদ্যশ্যো যাত্রা দিয়ে তিনি ৮সেপ্টেম্বর সকালে আজমির পৌঁছেন।সেখানে তিনি হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী হাছান চঞ্জরী আজমিরি (রঃ)রওজা শরিফ জেয়ারত করেন।তদপুরি তিনি জেয়ারত শেষ করে চিপা গলি দিয়ে বের হবার সময় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করে মাটিতে বসে পড়েন এবং বড় বড় করে কালেমা পড়তে থাকেন।সেসময় তার সফর সঙ্গিরা দ্রুত পাশের একটি মেডিকেলে তাঁকে নিয়ে যান।কর্তব্যরত ডাক্তাররা তখন তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন।তখন আইন মোতাবেক ভারতের পুলিশ পোশমর্টেম করা সহ কিভাবে মারা গেছে তার কৈপিয়ত তলব করেন সঙ্গি সাথিদের।পরে কথাবার্তার মাধ্যমে এসব আইনি পক্রিয়া সুরাহ হয়।এদিকে জমিয়তুল উলামা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের মহাসচিব মাওলানা কে এম আলমঙ্গীর মাসউদ আরব নগরী মঙ্গলবার দুপুরে ইনকিলাবকে জানান আজ সন্ধ্যা কিংবা আগামিকাল বুধবার হুজুরের লাশ বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।ভারতের আইন অনুযায়ি সব প্রসেসিং শেষ হয়েছে।তিনি আরা জানান জমিয়তুল উলামা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন হাজী সাহেব হুজুর। এছাড়াও তিনি ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রিয় কমিটির ১শ৫০নং সদস্য ছিলেন।তিনি পটিয়া জিরি মাদ্রাসা,বাবুনগর মাদ্রাসা,নানুপুর ওবাইদিয়া মাদ্রাসার শুরাহ সদস্য ছিলেন।তিনি রাউজান এমদাদুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ফটিকছড়ি বাবু নগর মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে অধ্যায়ন শেষ করেন।তিনি অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় বাবু নগর মাদ্রাসায় তাকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন কর্তৃপক্ষ।সেখানে তিনি একেধারে ২৫বছর শিক্ষকতা তথা দ্বীনি খেদমত করেন সে মাদ্রাসায়।পরবর্তি নিজ গ্রামে ২০০০সালে প্রতিষ্টা করেন রাউজান সদরস্ত জলিল নগর ছৈয়দুশ শোহাদা(রাঃ)মাদ্রাসা।সিরাজগঞ্জেও একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেন হাজী সাহেব হুজুর।এছাড়া বহিঃবিশ্ব থেকে পটিয়ার হাজী ইউনুচ শাহর পরে যিনি কওমি অঙ্গনে বিভিন্ন মাদ্রাসা মসজিদ নির্মানে সংগৃহিত ফান্ড দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তিনি একমাত্র ব্যাক্তি মাওলানা মুহাম্মদ ইউছুফ প্রকাশ হাজি সাহেব হুজুর।যে সময় কোন ফাউন্ডেশন ছিলনা সেসময় হাজী সাহেব হুজুর কওমি অঙ্গনের মাদ্রাসা মসজিদের সহযোগিতায় নিরলশ ভুমিকা ও পরিশ্রম করেছেন।হাজী সাহেব হুজুরের ভাগিনা হযরত এয়াছিনশাহ পাবলিক কলেজের অধ্যাপক মোঃ ফারুক বলেন মামার মৃত্যুর সংবাদ বাড়ীতে পৌঁছলে প্রথমে কেও বিশ্বাস করতে পারছিলামনা।সকলের মাঝে সংবাদটি যেন আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়েছে এমনটি মনে হয়েছে।তিনি ছিলেন একজন পরোপকারী ও নিরবে দানকারী ব্যাক্তি।মানুষকে সহায়তা করতেন নিজের মত করে।গতবছর সুনামগঞ্জের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের নিজে গিয়ে সহায়তা দিয়েছেন।তার ইন্তেকালে সমগ্র চট্টগ্রামের কওমি অঙ্গনে বিরাজ করছে শোকের চায়া।রাউজান সরকারী কলেজ ময়দানে তারঁ নামাজে জানাযার আয়োজনের কথা জানিয়েছেন তার পরিবার ও আত্মিয়স্বজনরা।তার লাশ দাফন তার প্রতিষ্টিত মাদ্রাসার আঙ্গীনায় হবে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ