বোয়ালখালীতে গৃহ নির্মাণে বাধা, অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছে না

Facebook creation 12179888

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

বোয়ালখালী প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক ব্যক্তিকে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার পেতে থানা এবং আদালতে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরী (জিডি) সুত্রে জানাযায়, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ পাঠানপাড়া ২নং ওয়ার্ডের কবির আহমদ মাস্টারের বাড়ির মৃত হেদায়েত খানের ছেলে মো.ইসমাইল খান তার পৈত্রিক প্রাপ্ত জায়গার উপর পাকা বসতগৃহ নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় মৃত আনোয়ার আজিম খানের ছেলে ওমর ফারুক খান ও আকতার হোসেন এর ছেলে সালাউদ্দিন সম্রাট বাধা দেয়। বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চায়লে তারা সেখানে জায়গা পাবে বলে জানায়। জায়গা পেলে কাগজপত্র নিয়ে এসে জায়গা পরিমাপের কথা জানালে আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু বলে সময়ক্ষেপন করতে থাকে। ইসমাইল খান প্রতিকার পেতে বোয়ালখালী থানা সাধারণ ডায়েরী নং-২৯৪,০৭/১১/২০২২ইং দায়ের করেন।

জিডির ভিত্তিতে পুলিশ বিবাদী পক্ষকে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানকল্পে উভয়পক্ষকে থানায় কাগজপত্র নিয়ে এসে যোগাযোগ করতে বললে ওমর ফারুক গং আসবো, আসছি বলে সময়ক্ষেপন করে। ইসমাইল খান তার নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে ওমর ফারুক খান ও সালাউদ্দিনসম্রাট। চট্টগ্রামের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে ১৪৫ধারায় গত ১০/০২/২৩ইং তারিখে একটি মিচ মামলা করেন। খারিজ হয় ০৪/০৬/২৩ইং। মিছ মামলার পক্ষে উভয়ের পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী করে মামলার পক্ষে যথাপোযুক্ত কাগজপত্রাদি দাখিল করতে না পারায় মিছ মামলাটি নথিজাত করে খারিজ করে দেন। মিছ মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার পর মো.ইসমাইল খান তাহার নির্মাণ কাজ করিতে গেলে গত ১১/০৭/২০২৩ইংরেজি ওমর ফারুক খান গংয়েরা আবারো স্বশরীরে গিয়ে নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং মারামারির ঘটনা সংঘটিত করার অপচেষ্টা চালায়। প্রতিকার পেতে মো.ইসমাইল খান গং বোয়ালখালী থানায় ও বিজ্ঞ আদালতে ওমর ফারুক ও সালাউদ্দিন সম্র এর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করেন। এরপরও গায়ের জোরে ওমর ফারুক খান গং নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করে যাচ্ছে এবং থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হযরানী করছে এবং নির্মাণ কাজ করতে চায়লে তাকে চাঁদা দিতে হবে বলেও জানান মো.ইসমাইল খান।

এব্যাপারে বোয়ালখালী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো.কামাল হোসেন বলেন, ওমর ফারুককে মারধর এবং বেধে রেখে নির্মাণ কাজ করার একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, মারধর এবং বেধে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে মো.ইসমাইল খান বলেন, ওমর ফারুক জোরপূর্বক আমাদের সীমানায় প্রবেশ করে অহেতুক আমাদের নির্মাণ কাজে বাধার সৃষ্টি করায় এবং তার হাতে ছুরি থাকায় আমরা আত্মরক্ষায় তাকে আটকানোর চেস্টা করি। মারধর এবং বেধে রাখার বিষয়টি সঠিক নয়।

জমির তপসীল-চরণদ্বীপ ইউনিয়নের বিএস জরিপের ৩৩২১নং খতিয়ানের বিএস-৪৩৬১ দাগের আন্দরে-০৭শতক এবং বিএস ৩৩২২নং খতিয়ানের বিএস ৪৩৫৬দাগের আন্দরে ১০শতক এবঙ ৪৩৬০দাগের আন্দরে ১.৫০শতক বাড়ি ও ভিটি ভূমি।

 

 

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ