নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়িতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন মুহুরীসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২১ আগস্ট মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেহেদী হাসান নামের এক যুবক এ মামলা করেন। মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম মুহুরী ছাড়াও ফটিকছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, নাজিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরী, সমিতিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ইমন, সুয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক রায়হান রুপু, যুবলীগ নেতা মাঈনুল আলম সাকি, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল আলম, কাউন্সিলর গোলাপ মওলাসহ ৩৫ জনকে সুনির্দিষ্ট ও ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে আসামী করা হয়। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২০ জুলাই চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের নাজিরহাট রাস্তার মাথায় আসামীগণ রাষ্ট্রের সম্পত্তি ও জানমালের ক্ষতি করার স্বার্থে হাতে বিভিন্ন লাঠি সংযুক্ত ব্যানার, দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, বিস্ফোরক ককটেল সামগ্রী নিয়ে জামাত বিএনপি সহ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বিশ্রী স্লোগান দিতে থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে আতংক ও সন্ত্রাসী নৈরাজ্য করে। নাজিরহাট মেডিকেলের সামনে ককটেল বিস্ফোরন করে ধ্বংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি করে বাদীর পথরোধ করে বিএনপি জামাতের দালাল উল্লেখ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের চেষ্টা করে। মামলার বাদী মেহদী হাসান নাজিরহাট পৌরসভার পূর্ব ফরহাদাবদ গ্রামের নুর কাজী বাড়ির কাজী আবু জাপরের পুত্র। মামলার আইনজীবী এডভোকেট আয়াতুন নবী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে ফটিকছড়ি থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।