ফটিকছড়িতে ছেলেকে  বাঁচাতে বন্যার পানিতে ভেসে গেল পিতা

IMG 20240823 232357

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

ডেস্ক নিউজ, চট্টলা প্রতিদিন : ফটিকছড়ির ভূজপুরে মাদ্রাসা থেকে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার  পথে বন্যার পানিতে নিখোঁজ হয়েছেন পিতা মো: রজি আহমেদ (৫৫)। ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকালে উপজেলার ভূজপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের এ ঘটনা ঘটে । নিহত রজি আহমেদ (৫৫) ওই এলাকার কবিরা পাড়ার মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে। তার ৪ ছেলে এবং ২ মেয়ের মধ্যে নাঈম বড়। বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় কাজী আসহাব উদ্দিন এবং মাওলানা নেজাম উদ্দিন বলেন- রজি আহমেদের ছেলে নাঈম স্থানীয় একটা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। এলাকায় বন্যার পানি হওয়াতে মাদ্রাসা থেকে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল সে। পথিমধ্যে হালদার শাখা খালে ছেলেকে নিয়ে পানি পাড় হওয়ার সময় ছেলে একটি গাছকে আকড়ে ধরে ঠিকে থাকলেও বাবা পানিতে ভেসে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ রজি আহমেদ। নিখোঁজ রজি আহমেদের ছেলে নাঈম বলেন- বাবা আমাকে জোরে ধরে একটি গাছে আঁকড়ে ধরাই। পানির স্রোতে এক পর্যায়ে বাবাকে ভাসিয়ে নেয়। আমি একটি গাছকে আঁকড়ে ধরার কিছুক্ষণ পর কিছু মানুষ দেখতে পেয়ে আমাকে পানি থেকে তুলে নিয়ে আসে। তবে বাবা পানিতে চলে গেছে। এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে নিঁখোজ হওয়ার একদিন পর সামি (১২) নামে এক শিশুর  লাশ পাওয়া গেছে। নিহত সামি দাঁতমারা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সাদিনগরের ভাড়াটিয়া হামিদের পুত্র বলে জানা যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ফটিকছড়ি উপজেলার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ফটিকছড়ি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। রাতে আসা স্বেচ্ছাসেবকরা  বোট দিয়ে বিপুল সংখ্যক দুর্গতদের উদ্ধার করা হয়েছে।’ তিনি আরো  বলেন, ‘অনেকেই শুকনো খাবার বিতরণ করতে চাচ্ছেন, বিক্ষিপ্তভাবে বিতরণ না করে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারেন।  উপজেলা প্রশাসনের নিকট শুকনো খাবার বা ত্রাণ পৌছে দিলে আমরা দুর্গত এলাকার মাত্রা অনুসারে শুকনো খাবারগুলো পৌঁছে দিতে পারি। ফটিকছড়ির মানুষের জন্য সারাদেশের এই ভালোবাসা অতুলনীয়, অভাবনীয়।’

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ