দেওয়ানপুর পাঠানপাড়ায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত

IMG 20240920 172549

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাউজান : দক্ষিণ রাউজান বাগোয়ানস্থ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর পাঠানপাড়ায় জশনে জুলুস  ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বাগোয়ান ইউনিয়নের দেওয়ানপুর পাঠানপাড়া গাউছিয়া যুব উন্নয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ও পাঠানপাড়া জামে মসজিদ পরিষদ ও এলাকাবাসীর যৌথ  উদ্যোগে মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ আবু ওসমানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন চরণদ্বীপ রজভীয়া ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি জিল্লুর রহমান হাবিবী। বিশেষ বক্তা ছিলেন কদলপুর হামিদিয়া কামিল ( এম এ) মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম আলকাদেরী, আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে ফলমন্ডি জামে মসজিদের খতিব হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা ইউছুপ বাহার যুক্তিবাদী,দেওয়ানপুর পাঠানপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা শিহাব উদ্দিন কাদেরী। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ইয়াছিন কাদেরী,মাওলানা আলি আজম কাদেরী,মাওলানা আলমগীর রেজা, মুহাম্মদ সরওয়ার আলম,জয়নাল আবেদিন জাবেদ, এনামুল হক মুন্না, তারেক, আবদুল জব্বার, মনির, হেলালুর রহমান, ইউছুপ, সোলাইমান, রুস্তম আলী প্রমুখ। মাহফিলে বক্তারা বলেন, হজরত আদম (আ.) যখন মাটিতে মিশ্রিত ছিলেন তখন আল্লাহর দরবারে শেষ নবী হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলেন নবী মুহাম্মদ (স.)। ঈদে মিলাদুন্নবীর অর্থ নবীর জন্মদিনের আনন্দোৎসব। পৃথিবীর যে কোনো মানুষের মৃত্যুই তার পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করে। কিন্তু মহানবী (স.) এর মৃত্যু মানবসমাজ ও সভ্যতার কোনো পর্যায়ে শূন্যতার সৃষ্টি করেনি। যদিও তাঁর মৃত্যুর চেয়ে অধিক বেদনাদায়ক কোনো বিষয় উম্মতের জন্য হতে পারে না। তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন সমগ্র পৃথিবীর জন্য আল্লাহর রহমত হিসেবে। রবিউল আউওয়াল মাস এলে মিলাদ মাহফিল আয়োজনের ধুম পড়ে যায়। কিন্তু রাসুল (স.) যে আদর্শ দিয়ে একটি বর্বর জাতিকে আদর্শ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো ফুটতে থাকা একটি সমাজকে শান্তির সুশীতল ছায়াতলে এনে দিয়েছিলেন, সেই মহান আদর্শে উত্তরণের কোনো চিহ্ন এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি মহানবীর (স.) এর আদর্শ চর্চার প্রয়োজন। মিলাদ কিয়াম শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত ও তাবারুক বিতরণ করা হয়।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ