চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজারের জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ আমিনুল হক। তিনি মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কক্সবাজার জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কক্সবাজার পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেন। জানা গেছে, আমিনুল হক ১৯৬০ সালের ৪ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়ারকুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। এরপর বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারী জজ হিসেবে বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে ধাপে ধাপে সফলতা দেখিয়ে পদোন্নতি লাভ করে ৩১ বছর সুনামের সহিত চাকুরী করেন। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল পরিবেশ ও আপিল আদালতের সিনিয়র জেলা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরই আগে তিনি ফেনী জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মজীবন পার করেন। অবসরের পর তার মধ্যে জনসেবার একটি মনোবাসনা জাগ্রত হয়। একজন যোগ্য পিতার উত্তরসরী হিসেবে তিনি জনগণের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান। অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ আমিনুল হকের পিতা অবিভক্ত বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত চেযারম্যান ছিলেন। চাকুরী থেকে অবসরে যাওযার পর জজ আমিনুল হক নিজ এলাকায় এসে জনগণের কাছে তার জনসেবার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি যথেষ্ট সাড়া পান। তখন তার মধ্যে নতুন করে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সিনিয়র জেলা জজ আমিনুল হক বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারে দুই জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাকে অনুপ্রানিত করে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি সমগ্র জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সত্যিকার ভাবে যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করেছে। এদেশের গরীব মানুষের আশ্রয়স্থল হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন। তিনি বিশ্বের জন্য একজন রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের গরীব, অসহায়, দরিদ্র, ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩৫ লক্ষ পরিবারকে জমিসহ বাড়ি দিয়েছেন। যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন এবং বিরল দৃষ্টান্ত। তাই জননেত্রীর স্বপ্ন পুরণে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে জনগনের সেবক হতে চাই। দলের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া সেটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তবে আমি একজন কর্মী হয়ে কাজ করে যেতে চাই। তাই সকল নেতৃবৃন্দের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।