

এম কামাল উদ্দিন: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়া পাড়া ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডের নিরামিশ পাড়ায় মা-বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। ২৫ জানুয়ারি শনিবার আছের নামাজের পর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা মার পাশে দাফন করা হয়।২৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) বেলা ১.১৫ মিনিটে সময় রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আছাদ আলী মাতব্বর পাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে।নিহত জাহাঙ্গীর আলম একই এলাকার নিরামিশ পাড়ার আলহাজ্ব মৃত আবু ছৈয়দ মেম্বারের ১ম ছেলে। নগরীর চাকতাইয়ে জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স নামে তার একটা শুটকির ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও নোয়াপাড়ায় মকসুদ কমিউনিটি সেন্টার নামে তাদের একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই ঘটনায় আব্বাস উদ্দিন (৩৭) নামে আরো একজন গুলিবিদ্ধ হয়। আব্বাস উদ্দিন সম্পর্কে নিহত জাহাঙ্গীরের ভাগিনা এবং মাকসুদ কমিউনিটি সেন্টারের ম্যানেজার। তিনি বর্তমানে নগরীর এভারকেয়ারে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মালেশিয়ায়,বার্মা ব্যাবসয়িক কাজ শেষ করে দেশে ফিরে জাহাঙ্গীর আলম। মৃত্যুকালে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রী, তিন মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। জাহাঙ্গীর আলমকে শেষবারের মতো একনজর দেখা ও জানাজায় শরিক হতে দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী ও শুভকাঙ্ক্ষীসহ জানাজায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য, জানাজার দিন শনিবার সকাল ১১টায় নোয়াপাড়া পথেরহাটে ভারতশ্বরী প্লাজার সামনে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সর্বসাধারণের ব্যানারে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।এসময় বক্তারা, জাহাঙ্গীর আলমে খুনীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবি জানান।
