নিজস্ব প্রতিবেদক ,চকরিয়া (কক্সবাজার) : আমি আপনাদের মাঝে আজকে ভাষণ দিতে আসি নাই, বাংলাদেশের মানুষের জুলুম নির্যাতনের নিপাত হওয়ার ঘোষণা দিতে এসেছি। আজকে থেকে এ দেশে জুলুমের অবসান হলো। কেউ নির্যাতন করতে পারবে না। যে দলেরই হোক, আমার দলের হলেও বা অন্য দলের হলেও কোন মানুষ, কোন মানুষের উপর অত্যাচার করতে পারবে না, নির্যাতন করতে পারবে না। জুলুম সহ্য করা হবে না। আইনের শাসন কায়েম করা হবে। এ দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে শত সহস্র শহীদের শর্তকে বাস্তবায়ন করা হবে। শতসহস্র শহীদের রক্তের অঙ্গীকার ছিলো, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। যে দেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। এই দেশে সবাই সাম্যের ভিত্তিতে নাগরিক অধিকার ভোগ করবে। সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হবে, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। সংবিধানের এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে এ দেশকে একটি সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণ করা হবে। আপনারা প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি যার যার অধিকার যেন সমুন্নত রাখেন সে চেষ্টা করে যাবেন। আজকে কথিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা কোথায়? দিল্লীতে বসে আছে। যদি দেখার সুযোগ হয়, আমার এলাকা চকরিয়া-পেকুয়া, কক্সবাজারবাসীর এ আনন্দ উল্লাস দেখে যাও। এতো আনন্দ, এতো উল্লাস, এতো আবেগ কীসের জন্য? স্বৈরাচারের পতনের জন্য। এতো শহীদ, এতো রক্তদান কীসের জন্য? প্রকৃত স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য। এদেশে আর কোনদিন স্বৈরাচারীর উৎপত্তি হবে? কোন দিন আর এদেশে শেখ হাসিনার মতো স্বৈরাচারের জন্ম হবে? আওয়ামী বাকশালীরা শুনে রাখো, গণহত্যা করার পরেও এদেশে আওয়ামীলীগের নামে কোন রাজনীতি হবে না। বাকশালীদের কোন রাজনীতি এদেশে আর হবে না। গণহত্যার দায় শিকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হলেও তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ দীর্ঘ ১০ বছর পরে নিজ জন্মভূমি চকরিয়া-পেকুয়া ২৮ আগস্ট বুধবার বিকেলে আগমন উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিশাল গণসংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ উপরোক্ত এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এ বাংলার মাটিতে আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ আদালত কে করে গেছেন? ওই আদালতে শেখ হাসিনা এবং তার ফ্যাসিবাদের সকল দোসরদের বিচার করা হবে, ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশের মানুষ ও দেশের জনগণ ১৯৭৫ সালে একটা বিচার দেখেছিলো। আওয়ামীলীগ শিক্ষা নিয়েছে, কিন্তু আওয়ামীলীগের কোনদিন শিক্ষা হবে না। বাংলাদেশের গণহত্যাকারী হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশু থেকে শুরু করে নারীদের হত্যা করা হয়। আবার যদি নির্বাচন করতে আসে, আপনারা কী সেটা মেনে নিবেন? তখন জনসভায় উপস্থিত হাজার হাজার জনগণ না না শব্দ ছুড়ে দেন। বাংলাদেশের জনগণ সেটা আর হতে দেবে না। এদেশে আর কোন অত্যাচারীর স্থান হবে না। তারা সংবিধানকে কাটছাট করে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে পরিণত করেছে, সেই সংবিধানকে আমরা জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক সংবিধানে পরিণত করবো। আপনারা সবাই বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশের পরিচয়ে বসবাস করবেন। বাংলাদেশের সংবিধান আপনারই রচনা করবেন। বাংলাদেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রীস্টান কাউকে ভেদাভেদ করবেন না। সবাই যার যার ধর্ম পালন করবেন। হিন্দু, বৌদ্ধ এদেশে কেউ সংখ্যালঘু না, সবার সমান অধিকার থাকবে। ২০২৪ সালে এসে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি ইতিহাস হয়েছে। মানুষকে হত্যা করে, গুলি করে আবার যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে আসে এই দেশের মানুষ তার জবাব দেবে। চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো: ফখরুদ্দীন ফরায়েজী, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেফাজতুর রহমান টিপু’র যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত গণসংবর্ধনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সালাহউদ্দিন আহমদের পত্নী এড. হাসিনা আহমেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড.শামীম আরা স্বপ্না, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবু তাহের চৌধুরী, জেলা সহ-সভাপতি আবুল হাসেম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিন ইব্রাহিম চৌধুরী, চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক এস এম আকতার চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম. মোকতার আহমদ, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রফিক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি এড.সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিন জিসান, বিএনপি নেতা এস এম মনজুর আলম, গিয়াস উদ্দিন, এ এম আলী আকবর, আকতার ফারুক খোকন, পৌর যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ফোরকান প্রমুখ।