মহিউদ্দিন ইমন : এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রামেরর মানুষের আস্থা বিশ্বাস ভালোবাসার ঠিকানা।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যিনি চট্টগ্রাম জেলার ১৫ টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়ে রাউজান হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। যিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন।শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকান্ড সহ ফুলে ফলে সুসজ্জিত বাগান তৈরী করে একটি উন্নত, আধুনিক, শান্তিময় উপজেলা হিসেবে সমাদৃত করেছেন নান্দনিক রাউজানের নন্দিত জননেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। যার তুলনা তিনি নিজেই।জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করে যিনি আরামের ঘুমকে হারাম করে দিনরাত পরিশ্রম করে সুন্দর, সমৃদ্ধ রাউজান তৈরি করেছেন। মেধা ও মননে, শয়নে স্বপনে, একাকি নির্জনে ধ্যানে জ্ঞানে, চিন্তায় চেতনে যিনি প্রতিনিয়ত রাউজান কে ধারণ করেন তিনিই ফজলে করিম চৌধুরী।যিনি স্বপ্ন দেখেন আবার সে স্বপ্নের বাস্তবায়নও করেন। যিনি হাসলে হাসে রাউজান, যিনি এগিয়ে গেলে রাউজান এগিয়ে যায়, যিনি জাগ্রত থাকলে রাউজানের মানুষ নিরাপদে থাকে। একজন ফজলে করিম চৌধুরি শুধু একজন এমপি নই, পুরো একটি অন্ধকার জনপদকে আলোয় আলোয় সাজিয়ে দেওয়ার সপ্নদ্রষ্টা…যারঁ ছোঁয়ায় আজ রাউজান সুভাসিত, শৃঙ্খলিত।সাতাশ বছর ধরে যে মানুষটি রোদ-বৃষ্টি, ঝড় -ঝঞ্চা উপেক্ষা করে, আপন সংসার-সন্তানদের মায়া ত্যাগ করে, সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে, আনন্দে-বিষাদে,দৈব-দুর্বিপাকে ছাঁয়ার মত রাউজানের মানুষের পাশে ছিলেন।সন্ত্রাস কবলিত, অনুন্নত, অনগ্রসর একটি জনপদকে যিনি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সবুজে, সুন্দরে, শান্তিতে নিরাপত্তায় একটি অনন্য জনপদে পরিণত করেছেন। নিজ এলাকার বাইরে গিয়েও যিনি মানব কল্যাণে পিছপা হননি কোনোদিন। হাজার হাজার কর্মহীন যুবকের বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন যিনি, রাউজানের মানুষের কল্যাণই যাঁর ভাবনার কেন্দ্র বিন্দু, তিনিই রাউজানের গণমানুষের প্রিয় নেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।১৯৯৬ সাল থেকে যাঁর হাত ধরে পরিবর্তিত হয়েছে অজস্র পরিবারের ভাগ্য, যে মানুষটা জীবনের অধিক সময় রাউজানের প্রতিটা মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন, যিনি নিজেকে কাজের মাধ্যমে রাউজানের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন, যার দক্ষ নেতৃত্বে রাউজানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠন সমূহ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঘোষিত সকল সভা, সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করেছেন, ঝড়, বৃষ্টি, রৌদ্র উপেক্ষা করে যে মানুষটা সবার আগে রাউজানে উপস্থিত হয়ে থাকেন।যিনি রাউজানে উপজেলায় প্রতিটা ইউনিয়ন, পৌরসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয়স্থল, আওয়ামী লীগের নিজস্ব স্থায়ী কার্যালয় গড়ে তুলেছেন, যিনি রাউজানকে হরতালমুক্ত ঘোষণা করছেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন করেছেন। সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতার বিপক্ষের ঘাঁটি খ্যাত রাউজানকে তিনি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রূপান্তরিত করেছেন, রক্তাক্ত রাউজানকে যিনি শান্তির রাউজানে পরিণত করেছেন।বঙ্গবন্ধুরর আদর্শ বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় ৯৬ সাল হতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যিনি ২০০১, ২০০৭ সালে রাজনীতিতে চরম দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন, নেতাকর্মীরা বিপদে আপদে পাশে পেয়েছেন তাঁকে,তৃনমুলের কর্মীদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রয়েছে তাঁর।তিনি বিগত সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের যুদ্ধাপরাধের বিচার ও জাতীয় নির্বাচন ২০০৯ বানচাল করার ষড়যন্ত্র, ত্বরিকতের নামে নৈরাজ্য , হেফাজতের তান্ডব, জালাও পোড়াও পেট্রোল সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা রাজনীতির বিপরীতে তিনি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রতিরোধ করেছেন । এই অবস্থানে আসার পথ মসৃণ ছিল না। অনেক ত্যাগ ও মাসূল দিয়ে এরকমভাবে উঠে আসা রাজনীতির মাঠে বিরল।তিনি গ্রীন, ক্লিন, পিংক রাউজানে রূপান্তরিত করার পাশাপাশি রাউজানের মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে চার লেইন উপহার, রাউজানে পিংক সিটি-১, পিংক সিটি-২ গড়ে তুলেছেন, রাউজানের মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম সেন্টার, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলছেন রাউজানের মানুষের কর্মসংস্থান এর কথা বিবেচনা করে শিল্পনগর গড়ে তুলেছেন।যিনি নিজে পায়ে হেঁটে হেঁটে পুরা রাউজানের মানুষের কথা শুনেছেন, দেখেছেন এবং সেটা তাৎক্ষণিক সমাধান করেছেন। রাউজানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ, এমপিওভুক্তকরণ ও নতুন নতুন ভবন উপহার দিয়েছেন। রাউজানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন গোলাপি রাউজান হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন।করোনাকালীন সময়ে রাউজানের মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে নিজে উপস্থিত থেকে প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য,স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গুলো সুষ্টভাবে বিতরন করেছেন। তাঁরই সার্বক্ষণিক তদারকিতে হেল্পডেক্স টিমের মাধ্যমে করোনায় মৃত ব্যাক্তিদের দাফন কাফন,সৎকার এর ব্যবস্থা করছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাউজান উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ভূমি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের মধ্যে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গৃহহীন মানুষের জন্য জায়গাসহ ঘর উপহার দিয়েছেন। রাউজানের কৃষকদের জন্য প্রতিনিয়ত বিনামূল্যে বীজ, সার উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সকল ভাতা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।রাউজানকে অসাম্প্রদায়িক রাউজান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। রাউজানের মানুষ আজ নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে যাচ্ছেন। তরুণদের খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে খেলা মাঠ তৈরি ও উন্নতমানের দর্শক গ্যালারী উপহার দিয়েছেন। রাউজানে যুবকদের জন্য ডিজিটাল কম্পিউটার সেন্টার ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উপহার দিয়েছেন। রাউজানের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স, শেখ কামাল কমপ্লেক্স, মার্স্টার দা সূর্যসেন কমপ্লেক্স গড়ে তুলছেন। রাউজানে অসংখ্য অসংখ্য নতুন নতুন রাস্তাঘাট, ব্রিজ গড়ে তুলছেন এবং সংস্কার করেছেন।এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বুদ্ধিমত্তা, ধের্য্যর সাথে এগিয়ে চলা, সিদ্ধান্তে অবিচলতা, প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার অতুলনীয় শক্তি ও সাহস,কর্মীর সঠিক মূল্যায়নের ক্ষমতা, অসীম সাহসীকতা, মানবিকতা, ও আত্মপ্রত্যয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব৬ পালন। যিনি কর্মে,শ্রমে,অবস্থানে, দক্ষতায়, নৈপুণ্যে সব দিক থেকে এগিয়ে অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন তিনি।স্মার্ট রাউজানের রূপকার এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর রাজনীতিতে একজন পরিক্ষিত, ত্যাগী, কর্ম পরায়ণ, ব্যাক্তিগত জীবনের একজন সাহসী মানুষ হিসেবে পরিচিত ও সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছেন।মানুষের প্রাপ্য সম্মান থেকে তাঁকে কোন ভাবেই উচিত নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা, সফল রাষ্টনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ড কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র, শোষণ মুক্ত স্বনির্ভর সোনার বাংলা বিনার্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্থ সারথি হিসেবে একজন কর্মোদ্যম, যোগ্য, করিৎকর্মা জননেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করলে তা সুচারুভাবে পালন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজ হবে।
লেখক- সংগঠক, প্রাবন্ধিক।