ইয়াবাসহ আটকের পরেও থেমে নেই কুতুপালংয়ের দীপনের ইয়াবা ব্যবসা

received 412965788489356

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার: অপরাধ জগতের স্বর্গরাজ্য রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া কুতুপালংয়ে ইয়াবাসহ মায়ানমারের বিভিন্ন চোরাই মাল ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নব্য-পুরাতন অনেকেই এসব অবৈধ ব্যবসায় সক্রিয় হতে দেখা গেছে। এসব কারবারিদের রুঁখে দিতে প্রশাসনের সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করা জরুরী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কুতুপালং পুর্ব পাড়ার রাজেন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারি দিপন বড়ুয়া টেইলার্স ব্যবসার আড়ালে নিরবে ইয়াবাসহ মায়ানমারের বিভিন্ন চোরাই পন্যের ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে নানান অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। দিপন বড়ুয়া ২০১৯ সালে ইয়াবা নিয়ে উখিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর উখিয়া এসটি ১৫১/১৯ নং মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন । পরে জামিনে এসে কিছুদিন নিরব থেকে নিজেকে আঁড়াল করতে বেচে নিয়েছিলেন টেইলারিং কাজ। সম্প্রতি আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলে তিনি পুরোদমে ইয়াবাসহ বিভিন্ন চোরাইপন্যের ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠে বেপরোয়াভাবে জীবন-যাপন করছেন। তিনি দৃশ্যমানভাবে টেইলার্সের দোকানে কর্মরত থাকলেও তার সাথে সখ্যতা রয়েছে বিভিন্ন জায়গার ইয়াবা সম্রাট ও কালোবাজারিদের সঙ্গে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি ইয়াবা পাচারকারীর ভুমিকায় গডফাদারের সাথে দেনা-পাওয়ানার লেনদেন করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। ঘুমধুম সীমান্ত ও ক্যাম্প ভিত্তিক এলাকায় বসবাস করার সুবাদে ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি তৈরি করেছেন একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট। তিনি জেল থেকে বের হয়ে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে প্রথমে অতি-সাধারনভাবে জীবন-যাপন করে থাকলেও বর্তমানে তিনি প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠে রীতিমতো আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়ে।। স্থানীয়রা বলছে, তাকে গ্রেপ্তারে বেরিয়ে আসবে তার ইয়াবা ব্যবসার গুপ্ত রোড়ম্যাপ। এছাড়া তার অবৈধ পন্য মজুদের গোপন আস্তানার তথ্যও জানা যাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুতুপালংয়ের এক ব্যবসায়ী জানান, দীপন বড়ুয়া হচ্ছে নিরব ঘাতক। তাকে আইনের আওয়াতায় আনা এত সহজ নই। কারণ সে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে বিগ পার্টিদের সাথে খুব সতর্কতার মাধ্যমে মাদকের লেনদেন করেন। বেশিরভাগই কাজ সে রোহিঙ্গাদের দিয়া করাই। সে আটকের পর থেকে নানান কৌশল কাটিয়ে তার মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সচেতন মহলের দাবি, সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর অভিযানে এসব মাদক কারবারিদেরকেও গ্রেফতার করা জরুরী। তারা যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঢেলে দিচ্ছে। এসব ছদ্মবেশী মাদক কারবারিদের কারণেই দেশে মাদকের আগ্রাসন বেড়েছে। অভিযুক্ত দীপন বড়ুয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, উখিয়াতে পুলিশবাহিনী সক্রিয় রয়েছে। মাদক ও অন্যন্য অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধ দমনে মাঠে পুলিশবাহিনী নিয়মিত অভিযান শুরু করেছে। প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কোন অপরাধী রেহাই পাবে না। প্রত্যেক অপরাধী আইনের আওতায় আসবে।

নিউজটি অন্যদের সাথে শেয়ার করুনঃ