নিজস্ব প্রতিবেদক, রাউজান : রাউজান গর্জনিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক আরবি প্রভাষক আল্লামা ওবাইদুন নাসের নঈমী (মা.জি.আ) বলেছেন, আহলে বায়তে রাসুল (স.)কে তাজিমের সাথে স্মরন করার নামই হচ্ছে ঈমান।৬১ হিজরীর মোহররম মাসে হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা শাহাদাতে হুসাইন (রাঃ)। বলাবাহুল্য যে,উম্মতের জন্য ইমামে হোসাইন (রঃ) শাহাদাৎ সহজ কথা নয়। কিন্তু নবী (সা.)-এরই তো শিক্ষা ‘নিশ্চয়ই চোখ অশ্রু সজল হয়,হৃদয়ব্যথিত হয়,তবে আমরা মুখে এমন কিছু উচ্চারণ করি না যা আমাদের রবের কাছে অপছন্দনীয়।এ মাসে যেসব অনৈসলামিক কাজকর্ম ঘটতে দেখা যায় তার মধ্যে তাজিয়া,শোকগাঁথা পাঠ, শোক পালন, মিছিল ও র্যালি বের করা,শোক প্রকাশার্থে শরীরকে রক্তাক্ত করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরো বলেন এ মাসের করণীয় বিষয় গুলোর মধ্যে রয়েছে, তওবা-ইস্তেগফার, নফল রোজা এবং অন্যান্য নেক আমল বেশি করা। এসব বিষয়ে যত্মবান হওয়া এবং সব ধরনের কুসংস্কার ও গর্হিত রসম-রেওয়াজ থেকে বেঁচে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক চলাই মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।তিনি (১৫জুলাই সোমবার) রাতে চট্টগ্রামের রাউজানের আমিরহাট হযরত এয়াছিন শাহ পাবলিক কলেজের একে এম ফজলুল কবির চৌধুরী হল রুমে আয়োজিত ১৩-তম পবিত্র শোহাদায়ে কারবালা মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন। এতে উদ্বোধক ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা শফিকুল ইসলাম। মুঠোফোনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম এহছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল। আহবায়ক মোঃ জাবেদ,সচিব মাওলানা মোজাম্মেল হোসাইনের যৌথ সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মাহফিলের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান সাংবাদিক মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন। অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ আল্লামা কাজী সাইদুল আলম খাকী,আল্লামা ইদ্রিছ আনসারী। প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন অধ্যাপক আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান মুরাদ ক্বাদেরী। প্রধান বক্তা ছিলেন উপাধ্যক্ষ লেখক গবেষক আল্লামা জসিম উদ্দিন আবেদী,বিশেষ বক্তা ছিলেন মাওলানা মাসুম রেযা কাদেরী ও শায়ের মাওলানা ওসমান গণী কাদেরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান তহিদুল আনোয়ার বাবুল,ইউপি সদস্য মোঃ গিয়াস উদ্দিন,মোঃ হোসেন। নাত পরিবেশন করেন প্রবাসী আলহাজ্ব মাওলানা ওসমান তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকী,সৈয়্যদ মাওলানা লুৎফুর রহমান,সৈয়্যদ মাওলানা গিয়াস উদ্দিন,সুপার মাওলানা নাসির উদ্দিন কাদেরী,মাওলানা মোরশেদ রেযা কাদেরী,ফরিদুল আলম মাস্টার,জামাল উদ্দিন মাস্টার,মাস্টার মাসুদ কায়সার,মাওলানা সোলাইমান চৌঃ,মাওলানা ছালেহ আকবর,ডাক্তার মোঃ ইউছুফ,মাওলানা এয়াছিন মাইজভান্ডারী,শেখ মুহাম্মদ জাহাংগীর আলম,রাসেদ কোম্পানী,সাংবাদিক মুহাম্মদ সাজ্জাদ,প্রবাসী আহমদ ছাফা,মাওলানা নেজাম উদ্দিন তৈয়বি,আঃলীগ নেতা মোঃ সাহাব উদ্দিন,ডাক্তার মোঃ ফারুক,মুহাম্মদ মামুন মিয়া,মোঃ জামাল উদ্দিন,হাফেজ ওমর ফারুক,ফরমানুল ইসলাম চৌঃ,মাওলানা শহিদুল্লাহ চৌঃ,মাওলানা শহিদুল ইসলাম ভান্ডারী,মাওলানা এমরান হোসাইন,মোঃ হাসান,মোঃ সাজ্জাদ,মোঃ নাজিম উদ্দিন ভান্ডারী,মোঃ মোজাফফর,মুহাম্মদ আলী,মোঃ মহিউদ্দিন প্রমুখ।বাদ আছর থেকে যিকিরে মোস্তফা(স.)পরিবেশন করেন শায়ের মাওলানা আবদুল মাবুদ,মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন,মাওলানা তাজ মোঃ রেযভী,মাওলানা রাসেদ রেযা,হাফেজ মিনহাজ,হাফেজ গোলাম মহিউদ্দিন।অনুষ্টানে হলদিয়ার অন্ধ হাফেজ মাওলানা হেলাল উদ্দিন নাত মূখস্থ করার জন্যে একটি মোবাইলের আবেদন করলে প্রবাসী মাওলানা ওসমান তালুকদারের সৌজন্যে মাহফিলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সেট তুলে দেন অথিতিবৃন্দ।মাহফিলে মিলাদ কিয়াম পরিবেশন করেন মাওলানা নেজাম উদ্দিন তৈয়বি।এতে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা ওবাইদুন নাসের নঈমি (মা.জি.আ)। সর্বশেষ আগত মেহমানদের মাঝে তাবারুক বিতরন করা হয়।